খামেনির ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশ | ২৫ জুন ২০১৯, ০৯:০৯

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস

ইরানের ওপর  নতুন করে নিষেধাজ্ঞারোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি এ নিষেধাজ্ঞার কথা জানিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবারের নিষেধাজ্ঞার মধ্যে দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আল খামেনিও রয়েছেন।

ট্রাম্প বলছেন মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত করা ও আরও কিছু কারণে অতিরিক্ত এ নিষেধাজ্ঞা দেয়া হচ্ছে। এরপরই ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাওয়াদ জারিফ এটিকে আমেরিকানদের ঘৃণ্য কূটনীতি হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এক টুইট বার্তায় জারিফ ট্রাম্প প্রশাসনকে যুদ্ধে আগ্রহী হিসেবে মন্তব্য করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট বলেছে আটজন সিনিয়র ইরানি কমান্ডার যারা দেশটির আমলাতন্ত্র ও ইসলামিক রিভলিউশনারি গার্ড বাহিনীকে দেখভাল করে তাদেরকেই লক্ষ্য করা হয়েছে। তারা বলছে ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের লক্ষ্যে পরিণত হয়েছেন আয়াতুল্লাহ খামেনির অফিসও।

যুক্তরাষ্ট্র মনে করে খামেনির অনেক সম্পদ আছে যা রিভলিউশনারি গার্ডকে সহায়তা করে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ধারণা এ সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৯৫ বিলিয়ন ডলার। এমনুচিনে মতে ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ওপরও নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে এ সপ্তাহের শেষ নাগাদ।

২০১৮ সালের মে মাসে নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করতে শুরু করেছিল ট্রাম্প প্রশাসন। তার আগে ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি থেকে সরে দাড়ায় যুক্তরাষ্ট্র। এরপর দু’দেশের সম্পর্ক গড়ায় তিক্ততার দিকে।

পরে ইরানর ওপর আরও চাপ বাড়ায় যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি ইরানের কাছ থেকে যারা তেল ক্রয় করে তাদেরকেও নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনার পদক্ষেপ নেয় তারা। পরে উপসাগরে তেলের ট্যাংকারে কয়েকটি হামলার ঘটনাও ঘটে। এরপর ইরানি কর্মকর্তারা তাদের ইউরেনিয়াম মজুদের সীমা বাড়ানোর কথা ঘোষণা করে।

এর কয়েকদিনের মাথায় যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন ভূপাতিত করার ঘটনা ঘটে। ইরান বলছে ড্রোনটি তার ভূখণ্ডে এসেছিল আর যুক্তরাষ্ট্র বলছে এটি আন্তর্জাতিক জলসীমায় ছিলো। ইরানের বিপ্লবী রিভলিউশনারি গার্ড বলেছে, ড্রোন ভূপাতিত করে তারা যুক্তরাষ্ট্রকে বার্তা দিয়েছে যে ইরানের সীমান্ত তাদের কাছে রেড লাইন।

ঢাকা টাইমস/২৫জুন/একে