জাপা নয়, আওয়ামী লীগই দালাল: রাঙ্গা

প্রকাশ | ২৫ জুন ২০১৯, ১৬:৫০

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

জাতীয় পার্টি কখনোই লোভের কাছে মাথা নত করেনি- এমন দাবি করে দলটির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা বলেছেন, ‘জাতীয় পার্টিকে দালাল বলা যাবে না। বরং আওয়ামী লীগই দালাল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। জাতীয় পার্টির ৫৭টি আসনে মাত্র ২২টি আসনে ছাড় দিয়েছে আওয়ামী লীগ।’

মঙ্গলবার রাজধানীর এজিবি কলোনি কমিউনিটি সেন্টারে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

রাঙ্গা বলেন, ‘১৯৯৬ সালে জাতীয় পার্টির সমর্থন নিয়ে আওয়ামী লীগ ২১ বছর পর রাষ্ট্রক্ষমতা গ্রহণ করে। এরপর প্রতিটি নির্বাচনে জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের পাশে থেকে নির্বাচন করেছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতা পেয়ে জাতীয় পার্টির সঙ্গে যে আচরণ করেছে, তা মেনে নেয়া যায় না। প্রতিটি ইউনিয়ন, উপজেলা নির্বাচনে জাতীয় পার্টি বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছে। গতকালের বগুড়ার নির্বাচনে জাতীয় পার্টির জয়ের ধারাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে সরকারি দল।’

দলকে আরও শক্তিশালী করতে হবে- এমন মন্তব্য করে জাপা মহাসচিব বলেন, ‘জাতীয় পার্টি শক্তিশালী ছিল বলেই আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টির সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। আওয়ামী লীগে পাঁচ ভাগ, বিএনপিতে চার ভাগ, কিন্তু জাতীয় পার্টি একভাগ। জাতীয় পার্টিতে কোনো কোন্দল বা দ্বন্দ্ব-বিভেদ নেই। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নির্দেশে আমরা গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ।’

সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘রংপুর-রাজশাহী বিভাগে জাতীয় পার্টির ব্যাপক সমর্থন রয়েছে। এখন শুধু জাতীয় পার্টির সমর্থকদের সংগঠনের অধীনে সংঘবদ্ধ করতে হবে। অনেকেই দল ছেড়ে চলে গেছে, অনেকে নিষ্ক্রিয় অবস্থায় আছে। সবাইকে নিয়ে শক্তিশালী জাতীয় পার্টি গড়ে তুলতে হবে।’

রাঙ্গা আরও বলেন, ‘জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের সমর্থনপুষ্ট নেতাদেরই আগামী ২০২৩ সালের নির্বাচনে মনোনয়ন দেয়া হবে। নেতাকর্মীরা চাইলে আটটি বিভাগীয় কমিটি করা হবে, ওই কমিটির মাধ্যমেই বিভাগীয় রাজনীতি পরিচালনা করা হবে।’

জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি, রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, ফখরুজ্জামান জাহাঙ্গীর, আলমগীর সিরকার লোটন, মো. এমরান হোসেন মিয়া, জাফর ইকবাল সিদ্দিকী, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা আশরাফ উদ দৌলা, ড. নুরুল আজহার শামীম, নুরুল ইসলাম তালুকদার এমপি, পনির উদ্দিন আহমেদ এমপি, ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইকবাল হোসেন রাজু, শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ এমপি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় প্রতিটি জেলা, মহানগর, উপজেলা ও পৌর কমিটির নেতারা বক্তব্য দেন।

(ঢাকাটাইমস/২৫জুন/বিইউ/জেবি)