দ্রুতবিচার আইনের মেয়াদ বাড়ছে আরও পাঁচ বছর

প্রকাশ | ২৫ জুন ২০১৯, ১৭:৫৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

বহুল আলোচিত দ্রুতবিচার আইন আরও পাঁচ বছর পর্যন্ত বাড়ানো হচ্ছে। আইনটি চালু রাখতে জাতীয় সংসদে একটি বিল তোলা হয়েছে। আইনটি পাস হলে ২০২৪ সাল পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।

মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জমান খাঁন কামাল ‘আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুতবিচার) (সংশোধন) বিল- ২০১৯’ জাতীয় সংসদে উত্থাপন করেন।

পরে এটি পরীক্ষা করে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

২০০২ সালে বিএনপি জোট সরকারের আমলে দ্রুতবিচার আইন সংসদে পাস হয়। তখন এর মেয়াদ ছিল দুই বছর। পরে পাঁচবারে মোট ১৫ বছর আইনটির মেয়াদ বাড়ানো হয়। সবশেষ ২০১৪ সালে পাঁচ বছর বাড়ানো হয়। গত ৯ এপ্রিল এটির মেয়াদ শেষ হয়েছে।

বিএনপি জোটের আমলে আইনটি পাসের পর সে সময়ের বিরোধী দলে ছিল বর্তমান ক্ষমতাসীনরা। সে সময় তারা এই আইনের ব্যাপক সমালোচনা করেছিল। তবে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগও এই আইনটির মেয়াদ দফায় দফায় বাড়িয়েছে।

আইনটি প্রণয়নের উদ্দেশ্য হিসেবে বলা হয়েছিল, চাঁদাবাজি, যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি, যানবাহনের ক্ষতিসাধন, স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিনষ্ট, ছিনতাই, দস্যুতা, ত্রাস ও সন্ত্রাস সৃষ্টি, অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি, দরপত্র কেনায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ বিভিন্ন অপরাধ দ্রুততার সঙ্গে বিচারের জন্য এই আইন। এই আইনে দোষী প্রমাণিত হলে দুই থেকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড হতে পারে। প্রতি জেলায় গঠিত এক বা একাধিক দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে এই আইনে মামলার বিচার চলে।

দ্রুত বিচার আইনে ১২০ দিনের মধ্যে বিচারকাজ নিষ্পত্তি করার বিধান আছে। এই সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করা না গেলে আরও ৬০ দিন সময় পাওয়া যায়।

(ঢাকাটাইমস/২৫জুন/এনআই/জেবি)