রাবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ

ব্যুরো প্রধান, রাজশাহী
| আপডেট : ২৫ জুন ২০১৯, ১৮:০৮ | প্রকাশিত : ২৫ জুন ২০১৯, ১৭:৫৮

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও মানসিকভাবে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার দুপুরে রাবির শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) সহকারী অধ্যাপক বিষ্ণু কুমার অধিকারীর বিরুদ্ধে একই ইনস্টিটিউটের এক ছাত্রী লিখিতভাবে এ অভিযোগ করেছেন।

ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক মো. আবুল হাসান চৌধুরী বরাবর ওই অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে অধ্যাপক আবুল হাসান চৌধুরী। তিনি বলেন, লিখিত একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের কাজ চলছে। এখনই এ বিষয়ে মন্তব্য করতে পারছি না।

তবে অভিযুক্ত শিক্ষক বিষ্ণু কুমার অধিকারী বলছেন, তিনি এ ধরনের অভিযোগের বিষয়ে কিছুই জানেন না। তবে এমন অভিযোগ হলেও সেটা সত্য নয় বলেই দাবি করেন তিনি।

ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন, আমি আমার বিভাগের শিক্ষক বিষ্ণু কুমার অধিকারীর দ্বারা বিভিন্নভাবে যৌন হয়রানি ও মানসিকভাবে উত্ত্যক্তের শিকার হই। যার কারণে আমি মানসিকভাবে অনেক বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছি। আমি পড়াশোনা এবং অন্য কোনো কাজেই মনযোগ দিতে পারছি না। মেন্টাল ট্রমায় ভুগছি।

তিনি লেখেন, কারণে অকারণে স্যার আমাকে তার অফিসে ডেকে বসিয়ে রাখেন, ফ্রি মাইন্ডের কথা বলে নানা রকম ইঙ্গিতপূর্ণ ও অশালীন কথাবার্তা বলেন, অন্য নারী শিক্ষকদের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে অশালীন মন্তব্য করেন, শিক্ষক হওয়ার ক্ষমতা দেখাতেন। তিনি আমাকে প্রায়ই রাত ১১টার পর ফোন করে কথা বলেন।

ওই শিক্ষার্থীর সামনে অভিযুক্ত শিক্ষক তার এক নারী সহকর্মীর নামে অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করতেন বলেও অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে। এছাড়া অভিযুক্ত শিক্ষক বিষ্ণু কুমার অধিকারী ইনস্টিটিউটের একাধিক ছাত্রীর সামনে নানা অশালীন কথাবার্তা বলা ও কোর্সের নম্বরের কথা বারবার উল্লেখ করে শিক্ষকের ক্ষমতা দেখাতেন বলেও অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছেন ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী।

এর আগেও বিষ্ণু কুমার অধিকারীর বিরুদ্ধে ইনস্টিটিউটের সান্ধ্যকোর্সের একাধিক ছাত্রী হয়রানির অভিযোগ তুলে তাকে কোর্স থেকে অব্যহতির অনুরোধ জানান পরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান বরাবর। এ কারণে তাকে ওই ব্যাচের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম থেকে সরিয়ে নেয়া হয়।

অভিযোগের বিষয়ে এবারের ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, আমি আর মানসিকভাবে সহ্য করতে না পেরে অভিযোগ করেছি। আমি চাই না ওই শিক্ষক আমার মতো আর কারো সঙ্গে এমন করুক। আমি নায্য বিচার চাই। ইনস্টিটিউিটের পরিচালককে দেয়ার পাশাপাশি রেজিস্ট্রি করে ডাকযোগে অভিযোগপত্রের অনুলিপি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, জনসংযোগ প্রশাসক, প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টা বরাবর পাঠানো হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/২৫জুন/আরআর/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :