ফিঞ্চের সেঞ্চুরি, অস্ট্রেলিয়া ২৮৫

প্রকাশ | ২৫ জুন ২০১৯, ১৯:২৮ | আপডেট: ২৫ জুন ২০১৯, ২৩:২৪

ক্রীড়া ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

সেমিফাইনালে ওঠার দৌড়ে ভালোভাবে টিকে থাকতে হলে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয় চাই ইংল্যান্ডের। সেই লক্ষ্যে মঙ্গলবার স্বাগতিকরা পেয়েছে ২৮৬ রানের টার্গেট। ৭ উইকেটে ২৮৫ রান করেছে অজিরা। 

১৯৯২ সালের পর থেকে বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের কাছে হারেনি অজিরা। সেই ধারা ধরে রাখতে বড় স্কোরের ইঙ্গিত দিয়েছিল তারা। টস হেরে ব্যাট করতে নামে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।

টস জিতে ফিল্ডিং নেওয়ায় শুরুতে হয়তো আফসোস হয়েছিল ইংল্যান্ডের। কিন্তু ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে ফিঞ্চের ১২৩ রানের জুটি ভেঙে উচ্ছ্বাসে ভাসতে থাকে স্বাগতিকরা। সেঞ্চুরিয়ান ফিঞ্চকে ফিরিয়ে তো ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় এউইন মরগানের দল।

ওয়ার্নারকে ৫৩ রানে জো রুটের ক্যাচ বানান মঈন আলী। তাতে উদ্বোধনী জুটি ভাঙে অজিদের। এরপর ফিঞ্চের সঙ্গে উসমান খাজা দলকে টেনে নিতে থাকেন। তাদের ৫০ রানের জুটি ভাঙার পর একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে অজিরা। খাজা ২৩ রানে বেন স্টোকসের শিকার হন।

১১৫ বলে ১১ চার ও ২ ছয়ে এই বিশ্বকাপে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করেন ফিঞ্চ। অধিনায়ক হিসেবে এক বিশ্বকাপে সর্বাধিক সেঞ্চুরির তালিকায় গ্লেন টার্নার (১৯৭৫), রিকি পন্টিং (২০০৩), ব্রেন্ডন টেলর (২০১৫) ও কেন উইলিয়ামসনের (২০১৯) পাশে বসলেন তিনি। ২০০৩ সালের বিশ্বকাপে সৌরভ গাঙ্গুলী সর্বোচ্চ তিন সেঞ্চুরি করেন। এবার তাকে ছোঁয়ার অপেক্ষায় ফিঞ্চের সঙ্গে আছেন উইলিয়ামসন।

অজি অধিনায়ক সেঞ্চুরি করার পর ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। পরের বলেই ক্রিস ওকসের ক্যাচ হন, বোলার ছিলেন জোফরা আর্চার। ১১৬ বলে ১০০ রানে ফিঞ্চের বিদায়ের পর অজিরা পড়ে কঠিন চাপে।

ঝড় তোলার আগেই গ্লেন ম্যাক্সওয়েল মাঠ ছাড়েন ৮ বলে ১২ রান করে। মার্ক উডের বলে জস বাটলারকে পেছনে ক্যাচ দেন তিনি। বোকামি করে রান আউট হন মার্কাস স্টোইনিস (৮)। শেষ পাঁচ ওভারে স্টিভেন স্মিথ ও প্যাট কামিন্সকে বিদায় করে রানের লাগাম টেনে ধরে ইংলিশরা। ৩৪ বলে ৫ চারে ৩৮ রান করেন স্মিথ, কামিন্সের অবদান ১ রান।

শেষ দিকে অ্যালেক্স ক্যারির ব্যাট দারুণ ভূমিকা রাখে। ২৭ বলে ৫টি চারে ৩৮ রানে অপরাজিত ছিলেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। অন্য প্রান্তে ৪ রানে খেলছিলেন মিচেল স্টার্ক।

ইংল্যান্ডের পক্ষে ক্রিস ওকস সর্বোচ্চ দুই উইকেট নেন। একটি করে পান আর্চার, উড, স্টোকস ও মঈন।

(ঢাকাটাইমস/২৫জুন/ডিএইচ)