মানবপাচারকারী চক্রের ‘মূলহোতার’ বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন

প্রকাশ | ২৫ জুন ২০১৯, ১৯:৫৮ | আপডেট: ২৫ জুন ২০১৯, ২০:০০

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
মূলহোতা জামাল হোসেন

মানিলন্ডারিং মামলায় মানবপাচারকারী চক্রের মূলহোতা জামাল হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) অনুমোদন করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। মঙ্গলবার তার বিরুদ্ধে দুদকের করা এই মামলায় অভিযোগপত্রের অনুমোদন দেওয়া হয়। আগামী দুয়েক দিনের মধ্যে এই অভিযোগপত্র কক্সবাজার আদালতে দাখিল করা হবে।

সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইমের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শারমিন জাহান ঢাকাটাইমসকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের উপসহকারী পরিচালক সাইদুজ্জামান বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পাঠানো অ্যানালাইসিস রিপোর্ট পেয়ে সরেজমিনে অনুসন্ধান করেন। তিনি জামাল হোসেনের মানবপাচার সম্পৃক্ত অপরাধের প্রমাণ পান। মানবপাচার করে অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ জামাল ইসলামী ব্যাংক টেকনাফ শাখায় জমা করেন। ২০১৪ সালের ২৩ মে থেকে ২০১৫ সালের ১৪ মে পর্যন্ত সর্বমোট এক কোটি ৮৩ লাখ টাকা জমা করেন এবং বিভিন্ন তারিখে চেকের মাধ্যমে ওই টাকা উত্তোলন করেন।

এ ঘটনায় ২০১৬ সালের ১৫ জুলাই টেকনাফ মডেল থানায়  একটি মামলা হয়। পরে আসামির বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের মামলা তদন্ত শুরু করে সিআইডি। এরপর জামাল হোসেনকে টেকনাফ থানার শাহপরীরদ্বীপ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

সিআইডির তদন্তে জানা যায়, আসামি জামাল হোসেন ২০১৩ সালের শেষ দিকে মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়েন। ইসলামী ব্যাংকের টেকনাফ শাখায় তিনটি, সাউথইস্ট ব্যাংকের টেকনাফ শাখায় তিনটি, এবি ব্যাংকের  টেকনাফ শাখায় একটি এবং ডাচ-বাংলা ব্যাংকের  মোবাইল ব্যাংকিং (রকেট) এ তার নিজ নামে ও একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে ১৩টি হিসাব রয়েছে। এসব হিসাব ব্যবহার করে জামাল হোসেন প্রচুর অবৈধ অর্থ লেনদেন করেন। দেশের ১৬টি জেলা থেকে মানবপাচার সম্পৃক্ত টাকা তার হিসাবে ঢোকে।

জামাল হোসেন ২০১৪ থেকে ২০১৫ সালে দেশের বিভিন্ন জেলার লোকদের সমুদ্রপথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় পাঠান। যদিও তার বিদেশে লোক পাঠানোর বৈধ লাইসেন্স নেই। লোকদের সমুদ্রপথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া পাঠানোর পর সেখানে আটকে রেখে দেশে আত্মীয়-স্বজনের কাছে ফোন করিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

তার বিরুদ্ধে টেকনাফ, নরসিংদী এবং রামু মডেল থানায় একটি করে মামলা রয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/২৫জুন/এএ/জেবি)