রাঙামাটিতে হোটেল ‘সুফিয়া’কে অর্থদণ্ড

পর্যটকের কাছে অগ্রিম বরাদ্দ নেয়া কক্ষ দিতে না পারায় রাঙামাটির বিলাসবহুল হোটেল ‘সুফিয়া ইন্টারন্যাশনাল’কে  পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। পাশাপাশি  বরাদ্দ বাবদ অগ্রিম নেয়া ছয় হাজার ১২০ টাকা আগামী সাত দিনের মধ্যে গ্রাহককে ফেরত দিতে নির্দেশ দিয়েছে অধিদপ্তর।

বুধবার দুপুরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের রাঙামাটি অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান এ দণ্ড দেন।

আহমুদুল হাছান নামে ঢাকার এক ট্রাভেল এজেন্সির অভিযোগেরভিত্তিতে তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে এ দণ্ড দেয়া হয়।

অভিযোগের বিবরণে জানা গেছে, গত ১১ জানুয়ারি আহমুদুল হাছান ২২ ফেব্রুয়ারি একদিনের জন্য হোটেল সুফিয়ায় সাতটি কক্ষ বরাদ্দ নেন। এ বরাদ্দ বাবদ ছয় হাজার ১২০ টাকা বিকাশের মাধ্যমে অগ্রিম পরিশোধও করেন তিনি। কিন্তু  তৎকালীন হোটেল ম্যানেজার রেজিস্টার বইয়ে ২২ ফেব্রুয়ারির পরিবর্তে ২২ জানুয়ারি দিনে বরাদ্দ দেন। উভয়ের মধ্যে এ যোগাযোগ হয়েছিল অনলাইনের মাধ্যমে।

এ ভুলের কারণে পর্যটকদের রাঙামাটি ভ্রমণ বাতিল হয়ে যায় এবং তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ভুলের দোষ স্বীকার না করে হোটেল কর্তৃপক্ষ উল্টো গ্রাহকের সাথে খারাপ ব্যবহার করে। এ কথা-বার্তার প্রিন্ট কপি অভিযোগের সাথে সংযুক্ত ছিল।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, ‘অভিযোগ পেয়ে আমরা তদন্ত করে সত্যতা পেয়েছি। পরবর্তীতে কাউকে যেন আর এভাবে হয়রানি করা না হয়, সে ব্যাপারে হোটেল কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করেছি। পর্যটনের শহরে পর্যটকরা এমন আচরণ প্রত্যাশা করে না।’

অভিযানের সময় বাজার ফান্ড কর্মকর্তা এমদাদুল্লাহ ভুইয়া, জেলা স্যানেটারি ইন্সপেক্টর নাসিমা আক্তার খানম উপস্থিত ছিলেন।

তবে ঘটনা ও অর্থদণ্ড ব্যাপারে জানতে চাইলে সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন হোটেল পরিচালক সায়েম। তিনি বলেন, ‘কোন কিছু হয়নি।’

(ঢাকাটাইমস/২৬জুন/এলএ)