ঘুষের সত্যতা, দুদকের বাছিরের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশ | ২৬ জুন ২০১৯, ১৯:৪৯ | আপডেট: ২৬ জুন ২০১৯, ২০:০৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
খন্দকার এনামুল বাছির

আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত করতে গিয়ে দুদকের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার কথা জানিয়েছে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি। ওই অভিযোগ তদন্তের দায়িত্বে থাকা দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা বুধবার বাছিরের বিদেশ গমনের ওপর নিষেধাজ্ঞাও জারি করেছেন।

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য ঢাকাটাইমসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

‘এনামুল বাছির দেশত্যাগ করতে পারেন’- এমন তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশের বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শককে একটি চিঠি দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা ফানাফিল্যা।

সেখানে বলা হয়, ‘ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির (খন্দাকার এনামুল বাছির) ঘুষ লেনদেন ও মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগের সত্যতা দুর্নীতি দমন কমিশনের অনুসন্ধানের প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বক্তব্য গ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন। ইতিমধ্যে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বক্তব্য প্রদানের জন্য তার বরাবর নোটিশ প্রেরণ করা হয়েছে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় যে, তিনি সপরিবারে দেশত্যাগ করে অন্য দেশে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।’

অনুসন্ধান কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য বাছিরের বিদেশ গমন ঠেকানো জরুরি বলে মন্তব্য করা হয় ফানাফিল্যার চিঠিতে।

প্রসঙ্গত, ডিআইজি মিজানের সম্পদের অনুসন্ধান করে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার আগ মুহূর্তে দুদক কর্মকর্তা খন্দকার এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ডিআইজি মিজান নিজেই দাবি করেন দুই দফায় মোট ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেন বাছির। একটি বেসরকারি চ্যানেলে এ বিষয়ে অডিও রেকর্ডও ফাঁস করেন তিনি। এ ঘটনার পর খন্দকার এনামুল বাছিরকে সাময়িক বরখাস্ত ও ওই অনুসন্ধানের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয় দুদক।

(ঢাকাটাইমস/২৬জুন/এএ/ডিএম/জেবি)