যুদ্ধাপরাধ: রণদা প্রসাদ হত্যার রায় আজ

প্রকাশ | ২৭ জুন ২০১৯, ০৯:৩৪ | আপডেট: ২৭ জুন ২০১৯, ০৯:৩৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
রণদা প্রসাদ সাহা

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় টাঙ্গাইলের দানবীর হিসেবে পরিচিত রণদা প্রসাদ সাহা ও তার ছেলেসহ সাতজনকে হত্যার দায়ে টাঙ্গাইলের মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঘোষণা করা হবে আজ বৃহস্পতিবার।

মাহবুবুরের বিরুদ্ধে অপহরণ, আটকে রেখে নির্যাতন, হত্যা, গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের তিনটি ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।

গতকাল বুধবার বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ মামলার রায়ের জন্য বৃহস্পতিবার দিন রাখে।

এর আগে উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল গত ২৪ এপ্রিল মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখে। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন প্রসিকিউটর রানা দাশগুপ্ত। আসামিপক্ষে ছিলেন গাজি এম এইচ তামিম।

ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনের তথ্য অনুযায়ী, ৭০ বছর বয়সী আসামি মাহবুবুর একাত্তরে মির্জাপুর শান্তি কমিটির সভাপতি বৈরাটিয়া পাড়ার আব্দুল ওয়াদুদের ছেলে। মাহবুবুর ও তার ভাই আব্দুল মান্নান সে সময় রাজাকার বাহিনীতে ছিলেন।

দানবীর রণদা প্রসাদ সাহার ম্যুরাল দানবীর রণদা প্রসাদ সাহার ম্যুরাল যুক্তি তর্ক শুনানি শেষে রানা দাশগুপ্ত বলেছিলেন, ‘আসামির বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের তিনটি অভিযোগ এনেছিল প্রসিকিউশন। আমরা মনে করি তিনটি অভিযোগই আমরা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ এ মামলায় ১৩ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন। যেসব সাক্ষ্যপ্রমাণ আমরা উপস্থাপন করেছি তাতে আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড চেয়েছি।’

আসামিপক্ষের আইনজীবী গাজি এম এইচ তামিম বলেছিলেন, ‘এ মামলায় যে কজন সাক্ষ্য দিয়েছেন তারা প্রত্যেকেই বলেছেন আরপি সাহা নিখোঁজ হয়েছেন। তাকে হত্যা করা হয়েছে এ কথা কোনো সাক্ষীই বলেননি। প্রসিকিউশনের একজন প্রত্যক্ষ সাক্ষী ছিলেন, তিনি ধরে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন। আরপি সাহাকে তিনি চিনতেন না বলেছেন।

‘ফলে এটাই প্রমাণ হয় যে, মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়ে এর বিচার হচ্ছে। আমি মনে করি প্রসিকিউশন আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। আমি আমার মক্কেলের খালাস চেয়েছি।’

গত বছর ১২ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইলের মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন। ১১ ফেব্রুয়ারি অভিযোগ আমলে নেওয়ার পর ২৮ মার্চ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে তার বিচার শুরুর আদেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল।

এক বছরের বেশি সময় পর বুধবার আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষ হলে ট্রাইব্যুনাল মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখে।

ঢাকাটাইমস/২৭জুন/এমআর