আহা উহু করার মানুষ চারপাশে ভরা

প্রকাশ | ২৭ জুন ২০১৯, ১২:২১

মুক্তাদির রশিদ রোমিও

হলের ছোট ভাইকে সবাই মিলে পেটাচ্ছে। একজন তো ক্রিকেট স্টাম্পের সরু পাশ দিয়ে চেষ্টা করছে ছোট ভাইটার মুখে মারতে। ছাত্রদলের নেতারা সবাই মজা করে দেখছে। দুরে দাঁড়ানো হলের ছাত্ররা। কেউ আতঙ্কিত কেউবা মজা লুটছেন। এগুচ্ছেনা কেউ। বলদের মতো আমি গিয়ে ছোট ভাইটাকে ঠেকানোর চেষ্টা করছি। নিবৃত করলাম তাকে আক্রমণে থাকা আমার অন্যদের ছোট ভাইদের।

এবার বিপদ আমার দিকে। প্রশ্ন করা হচ্ছে আমি কেন তাকে ঠেকাতে গেলাম? আমাকে হলে থাকতে দেবে না। মারতেও পারে। আর আমি হাসছি। মানে কি? মন চাইলো সবাই মিলে মারবেন। আমি বললাম তাকে মারবেন কেন? সংগত কারণে সেদিন কেউ আমাকে আর কিছু বলেনি। নিজের বাহবার জন্যে এ লেখা নয়। বরং বলছি ‘না’ বলতে শিখুন। দলকানা হবেন না।

সেদিনের আমার হলের ছোট ভাইকে ছাত্রদলের যাদের উপস্থিতিতে মারধর করা হয়েছে তাদের মাঝে মাঝে দেখি। তারা কেউ ভালো নেই। আমি তাদেরকে পাত্তা দেই না। মনে রাখবেন আহা উহু করার মানুষ আমাদের চারপাশে ভরা। এমনকী তারাই এখন রিফাতের ‘হত্যাকারীদের’ সামারি ট্রায়াল সমর্থন করছেন। গায়ের পাচড়া চুলকাচ্ছেন। তারা মূলত শাক দিয়ে মাছ ঢাকছেন।

নিজে অনুভব করুন। জানুন, ন্যায়বিচার নিশ্চিতের দাবি করুন। কেননা অন্যায়, অন্যায্যতা সংক্রমক। যদি সত্যি সাহসী হন তাহলে দাবি করুন ‘আইনের শাসন চাই’। কেননা সামাজিক ন্যায়বিচার ছাড়া রাষ্ট্র কেবলই তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত হয়।

লেখক: সাংবাদিক