খুনিদের যে কোনো মূল্যে গ্রেপ্তার: পুলিশ

প্রকাশ | ২৭ জুন ২০১৯, ১৫:২৬

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

বরগুনার রিফাত শরীফের খুনিদেরকে ধরতে পুলিশ চেষ্টা করছে জানিয়ে জেলার পুলিশ সুপার বলেছেন, তারা সবাইকে ধরতে আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। যে কোনো মূল্যে তাদেরকে ধরে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।

বুধবার এই হত্যার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে গোটা দেশ। খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি উঠেছে। উচ্চ আদালত জানতে চেয়েছে পুলিশ কী ব্যবস্থা নিয়েছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

তবে প্রধান সন্দেহভাহন নয়ন বন্ড এবং তার সহযোগীরা আত্মগোপনে। তাদেরকে দ্রুত গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বরগুনার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আমাদের জেলা পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থা মাঠে কাজ করছে। বলতে পারেন সব পুলিশ মাঠে। যে কোন মূল্যে এই হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হবে। ঘটনার সঙে জড়িত একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের ধরতে অভিযান চলছে।’

এই ঘটনায় ছড়ানো এক ভিডিওতে দেখা যায়, রিফাতকে বাঁচাতে আপ্রাণ চেষ্টা করছেন তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মুন্নি। কিন্তু তার বাঁধা এড়িয়ে দা দিয়ে কোপানো হয় তার স্বামীকে। আর ঘটনাটি দেশে নির্লিপ্ত ছিলেন আশেপাশের লোকজন। তারা ভিডিও করলেও তা ছবি তুললেও কেউ বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেনি।

পুলিশ সুপার জানান, তাদের বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ে এই ঘটনাটি নাড়া দিয়েছে। বলন ‘বরিশাল রেঞ্জের উপ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. শফিকুল ইসলাম স্যার ঘটনাস্থলে এসেছেন। দ্রুতই হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হব।’

গোয়েন্দা পুলিশের আরেক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আসামিদের ধরতে বেশ কিছু জায়গায় অভিযান চালানো হচ্ছে। ঘাতকদের বাড়ির ও আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে অভিযান চালানো হচ্ছে। ঘটনার পর তারা গাঁ ঢাকা দিয়েছে। তাই তাদের গ্রেপ্তারে বিলম্ব হচ্ছে। 

এদিকে মুন্নি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রত্যক্ষদর্শীদের নির্লিপ্ততায়। তিনি জানিয়েছেন, বারবার তার চিৎকারেও কেউ এগিয়ে আসেনি।
গুরুতর অবস্থায় রিফাতকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকাল চারটার দিকে রিফাত মারা যান।
 রিফাত শরীফের বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলার ৬নং বুড়িরচর ইউনিয়নের বড় লবণগোলা গ্রামে। মা-বাবার একমাত্র সন্তান ছিলেন রিফাত। ৎ

বুধবার রাতে নিহত রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। পরে সকালে চন্দন নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

ঢাকাটাইমস/২৭জুন/এসএস/ডব্লিউবি