এফবিসিসিআইয়ের অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী
বেশি বিনিয়োগে কালোটাকার কর কমানো যেতে পারে
২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ১০ শতাংশ কর দিয়ে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়েছে। তবে বিনিয়োগের পরিমাণের ওপর ভিত্তি করে করের পরিমাণ নির্ধারণ করা যেতে পারে বলে মনে করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
তিনি বলেছেন, ইপিজেডগুলোতে বেশি টাকা বিনিয়োগ করে বেশি কর্মসংস্থান তৈরি করতে পারলে আরও কম ট্যাক্সে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া যেতে পারে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পর্যালোচনার এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই) অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে।
কালোটাকা সাদা করার প্রক্রিয়া নিয়ে নিজের পরামর্শ তুলে ধরে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমার একটা সাজেশন আছে। সেটা হলো বিনিয়োগের জন্য ১০ শতাংশ কর দিয়ে অর্থনৈতিক জোনগুলোতে বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এই সুযোগ আরও প্রসারিত হতে পারে। যে কোম্পানি ১০০ কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে, আর যে কোম্পানি ৫ হাজার লোকের কর্মসংস্থান করেছে, দুজনের করহার এক হওয়া উচিত না। আমার মতে, যে প্রতিষ্ঠান বেশি লোকের কর্মসংস্থান করেছে তার ক্ষেত্রে করের হার আরও কমানো যেতে পারে।’
টিপু মুনশি বলেন, ‘আমরা চাই কালোটাকা অর্থাৎ অপ্রদর্শিত অর্থ যাতে দেশের দেশের বাইরে না যায়। যেভাবেই হোক টাকা দেশে থাকুক। এই সুযোগ দেওয়ার পর যতটুকু টাকা বিনিয়োগ হবে, ততটুকুই লাভ। কম কর দিয়ে হলেও যদি কিছু টাকা মূল স্রোতে আসে, তাও ভালো।’
এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, সিদ্দিকুর রহমান, বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক প্রমুখ। এ ছাড়া সভায় বিভিন্ন জেলা চেম্বারের প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন।
ঢাকাটাইমস/২৭জুন/মোআ