বিভাগীয় কমিশনারের কর্মশালায় যোগ দেননি অধিকাংশ উপজেলা চেয়ারম্যান

প্রকাশ | ২৭ জুন ২০১৯, ২২:৩৭

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অনুষ্ঠিত স্থানীয় পর্যায়ে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট বাস্তবায়নবিষয়ক কর্মশালায় যোগ দেননি জেলার অধিকাংশ উপজেলা চেয়ারম্যান ও সরকারি দলের নেতারা।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নানের কারণে বৃহস্পতিবারের এ অনুষ্ঠান বয়কট করার কথা স্বীকার করেন জেলা আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল এক নেতা।

এদিকে কর্মশালায় বক্তৃতা দিতে গিয়ে বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নান উপজেলা চেয়ারম্যানদের অনুপস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘উপজেলা চেয়ারম্যানরা সরকারি গাড়ি, তেল ও ভাতা পান। কিন্তু এমন একটা প্রোগ্রামে তারা আসবেন না এটা হতে পারে না। তিনি বিষয়টি সরকারকে জানাবেন বলেও জানান।’

সকালে এই কর্মশালা হয় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে।

কর্মশালায় যোগদানকারী একাধিক সূত্র জানিয়েছে, জেলার নয়টি উপজেলার মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও আশুগঞ্জ আর বাঞ্ছারামপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এই কর্মশালায় যোগ দেন।

আওয়ামী লীগের নেতাদের যোগ না দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার জানান, তাকে চিঠি পাঠিয়ে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে তিনি যাননি। দলের অন্য কেউও এতে যোগ দেননি বলে জানান আল মামুন সরকার।

তিনি আরো বলেন, তাদের সঙ্গে কথাবার্তা না বলেই এই কর্মশালা করা হয়েছে এবং বিভাগীয় কমিশনার এই প্রোগ্রামে আসবেন সেটিও তারা জানতেন না।

৩১ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরই বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নানের অপসারণ চেয়ে রাস্তায় অবস্থান নিয়ে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছিল ছাত্রলীগ। ভোটের আগের রাত থেকে শুরু করে ভোটের সারাদিন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ওপর প্রশাসনের নির্যাতন এবং এখানে নৌকার ভরাডুবি ঘটানোর জন্যে দায়ী করা হয় বিভাগীয় কমিশনারকে। বিভাগীয় কমিশনার ভোটের আগের রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া এসে সার্কিট হাউজে নির্বাচনের চেয়ারম্যান এবং পুরুষ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের তিন প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীর সঙ্গে একান্ত বৈঠক করেন। পরদিন নির্বাচনে আ’লীগের সমর্থিত প্রার্থীদের বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে তারাই জয়ী হন। ওই বৈঠকের পরই নির্বাচনের পরিবেশ অন্যরূপ ধারণ করে বলে অভিযোগ করে ছাত্রলীগ। প্রশাসন একতরফা আক্রমনাত্মক হয়ে উঠে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ওপর। বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নান ছাড়াও সদরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) কামরুজ্জামানের অপসারণ দাবি করা হয় ছাত্রলীগের ওই সভা থেকে। এর প্রায় তিন মাস পর বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নান ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরে এলেন।

(ঢাকাটাইমস/২৭জুন/এলএ)