গৃহবধূর গরম তেলে প্রাণ গেল স্বামীর

লক্ষ্মীপুরে গৃহবধূ জহুরা বেগমের ‘গরম তেলে’ ঘুমন্ত স্বামী দগ্ধ হওয়ার ঘটনার ১০ দিন পর স্বামী দিদার হোসেনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

পরে দুপুরে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আজিজুর রহমান মিয়া।

তিনি বলেন, ‘সকালে দগ্ধ স্বামী দিদার হোসেন ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। গরম তেল দিয়ে ঝলসে দেয়ার মামলাটি এখন হত্যা মামলার ধারা অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এ মামলায় আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

এর আগে গত ১৭ জুন ভোরে লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ রোড এলাকার একটি ভাড়া বাসায় ঘুমন্ত স্বামী দিদারের শরীরে গরম তেল ঢেলে দেয়ার অভিযোগ উঠে স্ত্রী জহুরা ও তার ভাই আলমগীরের বিরুদ্ধে। ঘটনার দিনই দিদারের মা বানু বেগম বাদী হয়ে জহুরা ও আলমগীরের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ঘটনার পর থেকে জহুরা ও তার ভাই আলমগীর পলাতক থাকায় কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

মামলা ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, দগ্ধ দিদার সদর উপজেলার চররুহিতা গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে। ২০০৩ সালে উপজেলার চররমনী মোহন গ্রামের নুরুল ইসলামের মেয়ে জহুরার সঙ্গে দিদারের বিয়ে হয়। পারিবারিক কলহের কারণে ২০১৬ সালে তাদের বিয়ে বিচ্ছেদ ঘটে। পরে দুইজনই অন্যত্র বিয়ে করেন। প্রায় এক বছর আগে জহুরাকে আবার বিয়ে করেন দিদার। এরপর থেকে তারা লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ রোড এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিলেন। হঠাৎ পারিবারিক কলহের জের ধরে ঘটনার দিন জহুরা ও তার ভাই আলমগীর গরম তেল ঢেলে দিদারের শরীর ঝলসে দেয়। এতে তার মুখ-হাত ও বুকসহ শরীরের ৪০ শতাংশ পুড়ে যায়। দগ্ধ অবস্থায় তাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়। ১০ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বৃহস্পতিবার সকালে তার মৃত্যু হয়।

(ঢাকাটাইমস/২৭জুন/এলএ)