নিয়োগে ঘুষ: এসপির বডিগার্ডের বিরুদ্ধে পুলিশের ব্যবস্থা

মাদারীপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৮ জুন ২০১৯, ১৩:৫৩
সংবাদ সম্মেলনে মাদারীপুরের পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালদার

মাদারীপুরে কনস্টেবল পদে নিয়োগে ঘুষের অভিযোগে জেলার পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালদারের দেহরক্ষীসহ দুই কনস্টেবলকে আটক করে সদরদপ্তরে নেয়া হয়েছে। আরো দুই কর্মকর্তাকে জেলা থেকে অন্যত্র বদলি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে পুলিশ সুপার তার নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছেন।

পুলিশ জানায়, কনস্টেবল নিয়োগে ঘুষ ও অনিয়ম ঠেকাতে এবার তারা বিশেষভাবে তৎপর। এই ঘটনায় ২৪ জুন পুলিশ হেডকোর্য়াটার থেকে বিশেষ অভিযান চালানো হয়। তারা পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালদারের দেহরক্ষী নুরুজ্জামান সুমনকে ঘুষ হিসেবে নেয়া টাকাসহ আটক করে। পুলিশ লাইনসের মেস ব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন, টিএসআই গোলাম রহমান এবং পুলিশ হাসপাতালের স্বাস্থ্য সহকারী পিয়াস বালার কাছ থেকেও ঘুষের টাকা উদ্ধার করা হয়। পরে নুরুজ্জামান সুমন ও জাহিদ হোসেনকে পুলিশ সদরদপ্তরে নজরদারিতে রাখা হয়।

পরে টিএসআই গোলাম রহমান এবং পুলিশ হাসপাতালের স্বাস্থ্য সহকারী পিয়াস বালাকে মাদারীপুর জেলা থেকে অন্যত্র শাস্তিমূলক বদলি করা হয়। আর এই বিষয়টি নিয়ে নানা গুঞ্জর শুরু হলে বৃহস্পতিবার রাতে সংবাদ সম্মেলন ডাকেন পুলিশ সুপার।

গত ২২ জুন মাদারীপুর জেলা থেকে ৫৪ জন পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগের জন্যে শারীরিক পরীক্ষা নেয়া হয়। উত্তীর্ণদের গত ২৩ জুন সরকারি নাজিমউদ্দিন কলেজে একটি কক্ষে লিখিত পরীক্ষা নেয়া হয়। পরের দিন বিকাল পাঁচটার মধ্যে ফলাফল দেওয়ার কথা থাকলেও রাত ১০টার দিকে ফলাফল জানানো হয়। এতে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে নানা গুঞ্জন তৈরি হয়। ঘুষের বিনিময়ে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠে।

পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) সোহেল রানা জানান, ‘এবার পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগে একাধিক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পুলিশ হিসেবে কাউকে ছাড় দেয়া হয়নি। মাদারীপুরেও যেসব পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে, তাদের বিরুদ্ধেও আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। আমরা সুস্থ এবং নির্ভেজাল নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য যা করা দরকার পুলিশ হেডকোয়ার্টার তা করেছে। যে সকল জেলা থেকেই আমরা খবর পেয়েছি সেখানেই আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি।’

নিজের দেহরক্ষীকে আটকের বিষয়ে মাদারীপুরের পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালদার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘যার যার অপরাধের দায়ভার তারই।’ জানান, মেস ব্যবস্থাপক জাহিদের কাছ থেকে তিন লাখ টাকা নগদ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে বাকি কার কাছ থেকে কত উদ্ধার করা হয়েছে, তা তিনি জানাতে পারেননি।

এসপি বলেন, ‘পুলিশ হেডকোয়ার্টারের একজন এডিশনাল এসপি এবং মাদারীপুর সদর থানার ওসি অভিযান পরিচালনা করেন।

মাদারীপুর সদর থানার ওসি সওগাতুল আলম জানান, ‘পুলিশ নিয়োগের ব্যাপারে কাউকে আটক, গ্রেপ্তার বা অন্য কোন বিষয়ে আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কিছু বলতে পারব না। এই বিষয়ের সঙ্গে আমি জড়িত নই।’

(ঢাকাটাইমস/২৮জুন/ডব্লিউবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :