পুলিশে চাকরি: ঘুষ দেয়ার চেষ্টায় একজন আটক
ভাতিজাকে পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগের জন্য জার্সির মধ্যে অভিনব কায়দায় ঘুষ দেয়ার চেষ্টা করেও রক্ষা পেলেন না চাচা নূরুল ইসলাম। সাত লাখ টাকা ঘুষ দেয়ার চেষ্টা করে ধরা খেলেন নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিনের হাতে।
বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ সুপারের কাছে দেখা করতে এসে আটক হন নূরুল ইসলাম।
এদিকে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ লাইন্স মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সামনে নূরুল ইসলামকে হাজির করা হয়।
নূরুল ইসলাম নড়াইল সদরের তুলারামপুর ইউনিয়নের চাঁচড়া গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ সুপার জানান, নূরুল ইসলাম মাঝে-মধ্যে অফিসে এসে আমার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করেন। সপ্তাহখানেক আগে আমাকে অফিসে না পেয়ে নূরুল ইসলাম ফোনে জানান, স্যার আপনি ফুটবল প্রিয় হওয়ায় আপনার জন্য হলুদ রঙের জার্সি নিয়ে এসেছি।
নূরুল ইসলামের এ কথা শুনে তাকে বলি, আপনার জার্সি দেয়ার প্রয়োজন নেই। তবু জার্সি নেয়ার জন্য বারবার অনুরোধ করেন নূরুল। এক পর্যায়ে তাকে অফিসে জার্সি রেখে যেতে বলা হয়। পরে জার্সির ওই প্যাকেটটি পুলিশ সুপারের বাসভবনে পাঠিয়ে দেন অফিসের কর্মচারীরা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ব্যস্ততার কারণে ওই জার্সির প্যাকেটটি খুলে দেখেননি। বৃহস্পতিবার সকালে জার্সির প্যাকেটটি খোলেন পুলিশ সুপারের স্ত্রী। প্যাকেটটি খোলার পর পুলিশ সুপার ও তার স্ত্রী হতবাক হয়ে যান। দেখতে পান- ওই প্যাকেটে হলুদ রঙের জার্সি, একটি ডায়েরি, পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগের জন্য দিপু হোসেনের বয়োডাটা এবং টেপ দিয়ে মোড়ানো আরেকটি কাগজের প্যাকেটে রয়েছে সাত লাখ টাকা। এই অবস্থা দেখে- নূরুল ইসলামকে চিহ্নিত করা হয়। ওই রাতেই পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে তাকে আটক করা হয়।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত নূরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, জার্সির প্যাকেটের মধ্যে আমার ভাইয়ের ব্যবসার টাকা ভুলে রেখে ছিলাম।
তবে কনস্টেবল নিয়োগের জন্য ভাতিজার জীবনবৃত্তান্ত প্যাকেটে কেন রেখেছেন- সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে তিনি এলোমেলো উত্তর দেন।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, ‘নূরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’
এদিকে আজ থেকে নড়াইলে কনস্টেবল পদে নিয়োগের কার্যক্রম শুরু হচ্ছে।
(ঢাকাটাইমস/২৮জুন/এলএ)