কলাপাড়ায় কিশোরীকে ধর্ষণ

প্রকাশ | ২৮ জুন ২০১৯, ২২:০৬

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

মায়ের জন্য পান সুপারি কিনে বাসায় ফেরার পথে ১১ বছরের এক কিশোরীকে এক বখাটে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কলাপাড়ার ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের রমজানপুর গ্রামে বুধবার সন্ধ্যায় এ ঘটনায় রাত দেড়টার দিকে রক্তাক্ত অবস্থায় কিশোরীকে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অবস্থার অবনতি ঘটলে ওই রাতেই তাকে পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে।

কিশোরীর ভগ্নিপতি জহিরুল ইসলাম জানান, ঘটনার দিন (২৬ জুন) বিকালে মায়ের জন্য পান সুপারি ও ভেঙে যাওয়া মোবাইলের ডিসপ্লে ঠিক করতে বাড়ির পাশের তেগাছিয়া বাজারে যায় ওই কিশোরী। সন্ধ্যার দিকে বাসায় ফেরার পথে রমজানপুর গ্রামের শাহীন সরদার তাকে মুখ চেপে ধরে রাস্তা থেকে কিছু দূরে জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ করে। এসময় কিশোরীর চিৎকারে প্রতিবেশী আনোয়ার হোসেন এগিয়ে এলে শাহীন পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে প্রথমে বাসায় নিয়ে যায় গ্রামবাসীরা। কিন্তু তার রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় রাত দেড়টায় তাকে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

কিশোরীর ভগ্নিপতি আরও জানান, ঘটনার রাতেই স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি এ ঘটনার সালিশ বৈঠকের আশ্বাস দিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু কিশোরীর অবস্থার অবনতি ঘটলে গ্রামবাসীর সহায়তায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তার অবস্থা শঙ্কাজনক বলে জানান।

স্থানীয় ইউপি সদস্য সাহাবুদ্দিন জানান, এ ঘটনার সাথে আমার ফুফাতো ভাই শাহীন জড়িত এ কথা বলছে নির্যাতনের শিকার কিশোরী। ঘটনা সত্য হলে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কামনা করছেন।

মহিপুর থানার ওসি সাইদুল ইসলাম জানান, বিষয়টি জেনে পুলিশ ঘটনাস্থল ও নির্যাতনের শিকার কিশোরীর পরিবারের সাথে কথা বলেছেন। এখনও থানায় অভিযোগ দেয়নি কিশোরীর পরিবার। তবে অভিযুক্ত ও তার সহযোগীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তবে এ ঘটনায় মামলা করা হবে বলে কিশোরীর পরিবার জানান।

(ঢাকাটাইমস/২৮জুন/এলএ)