দেড় ফুট পানির নীচে সুনামগঞ্জ

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৯ জুন ২০১৯, ১৮:০১

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে সুনামগঞ্জের ১১টি উপজেলার সবকটি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে জেলা শহরসহ নিম্নাঞ্চলের শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। হাঁটু থেকে কোমড় পর্যন্ত পানিতে ডুবেছে জেলার অনেক এলাকা।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, ভারী বৃষ্টি আর ঢলের পানিতে সুরমা, যাদুকাটা, বৌলাই, মাহারাম, রক্তি, পাটলাই নদী দিয়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। নদী ও হাওরের পানি একাকার হয়ে নদীর তীরবর্তী ও হাওরপাড়ের গ্রামগুলো ঢেউয়ের আঘাতে ভাঙনের মুখে পড়েছে।

এদিকে যাদুকাটা ও মাহারাম নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় এসব নদী থেকে বালু-পাথর উত্তোলনকারী প্রায় ২০হাজার শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছেন।

আনোয়ারপুর ব্রিজের অ্যাপ্রোচের পূর্বাংশের নির্মাণাধীন সড়ক পাহাড়ি ঢলে

ও শক্তিয়াখলার দূর্গাপুর এলাকার নিচু সড়ক ডুবে যাওয়ায় তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ যানবাহন চলাচল একবারেই বন্ধ রয়েছে।

ঢেউ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে মাছ ধরতে না পারায় পরিবার-পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়েছেন মৎস্য আহরণকারী জেলেরা।

বন্যায় উত্তর বড়দল, বাদাঘাট, বালিজুড়ি, উত্তর শ্রীপুর ও দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় রোপা আমন ধানের প্রায় ২০০একর জমির বীজতলা ও শাকসবজির ক্ষেত ঢলের পানিতে প্লাবিত হয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুণা সিন্দু চৌধুরী বাবুল বলেন, পাহাড়ি ঢলে রাস্তা ভেঙে তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আমার উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সবাইকে সর্তকতাস্থায় থাকার জন্য বলেছি। আমি নিজেও খোঁজ খবর রাখছি।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন র্বোড নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বক্কর সিদ্দিক ভূঁইয়া জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জ জেলায় ২০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সুরমানদীর পানি ৬৮সে. মি. ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বর্তমানে অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড এর বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী আগামী ২৪ঘণ্টায় নদীর পানি বাড়তে পারে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।

বন্যার কারণে জরুরি প্রয়োজনে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এবং উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী সার্বক্ষণিক কর্মস্থলে অবস্থানের জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক আব্দুল আহাদ।

ঢাকাটাইমস/২৯জুন/ইএস

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :