বাজেটে পুঁজিবাজার নিয়ে প্রস্তাবে পরিবর্তন আসছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৯ জুন ২০১৯, ২১:২৪ | প্রকাশিত : ২৯ জুন ২০১৯, ২০:২২
ফাইল ছবি

পুঁজিবাজারের স্টক লভ্যাংশ এবং রিজার্ভের ওপর অতিরিক্ত করারোপসহ অর্থমন্ত্রী যেসব প্রস্তাব করেছিলেন, তা পরিবর্তনের সুপারিশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর রীতি অনুযায়ী তার এসব সুপারিশই চূড়ান্ত হয়ে তাকে।

বাজেট পাসের আগের দিন শনিবার জাতীয় সংসদে দেয়া বক্তব্যে এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, অর্থমন্ত্রীর প্রস্তাব নিয়ে ব্যবসায়ীরা ও ব্যাংক আপত্তি জানিয়েছে।

প্রস্তাবিত বাজেটে পুঁজিবাজারের কোম্পানিগুলোকে ক্যাশ ডিভিডেন্ডে উৎসাহিত করার জন্য স্টক ডিভিডেন্ডের ওপর ১৫ শতাংশ হারে এবং কোম্পানির রিটেইনড আর্নিং ও রিজার্ভের ওপরও করারোপের প্রস্তাব করা হয়েছিল। কোনো কোম্পানির রিজার্ভ তার পরিশোধিত মূলধনের ৫০ শতাংশের বেশি হলে এই কর দিতে হতো।

তবে এই প্রস্তাবের ফলে উল্টো পুঁজিবাজারে নতুন করে নেতিবাচক পরিস্থিতি তৈরির আশঙ্কা দেখা দেয়। কারণ, কোম্পানিগুলোকে কয়েক হাজার কোটি টাকা কর দিতে হতো এবং এ জন্য তাদের লভ্যাংশ দেওয়ার ক্ষমতাও কমে যেতে পারত।

প্রধানমন্ত্রী সংসদে বলেন, ‘এ বিষয়ে ব্যবসায়ী সমাজের কেউ কেউ আপত্তি জানিয়েছে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, বাংলাদেশ ব্যাংকের চাহিদা অনুযায়ী পরিশোধিত মূলধন বাড়ানোর জন্য ব্যাংকগুলো নগদ লভ্যাংশ দিতে পারে না।’

তবে প্রধানমন্ত্রী স্টক ডিভিডেন্ডের সঙ্গে সমান হারে নগদ লভ্যাংশও দেওয়ারও প্রস্তাব করেন। বলেন, ‘যদি কোম্পানির ঘোষিত স্টক লভ্যাংশের পরিমাণ নগদ লভ্যাংশের চেয়ে বেশি হয়, তাহলে স্টক লভ্যাংশে উপর ১০ শতাংশ হারে কর প্রস্তাব করতে হবে।’

পরিশোধিত মূলধনের ৫০ শতাংশের বেশি রিজার্ভ থাকলে তার ওপর ১৫ শতাংশ করারোপের প্রস্তাবেও সংশোধনী আনেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘আমি প্রস্তাব করছি যে, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানি কোনো অর্থবছরে কর পরবর্তী নিট লাভের সর্বোচ্চ ৭০ শতাংশ রিটেইন আর্নিং, ফান্ড, রিজার্ভে স্থানান্তর করতে পারবে। অর্থাৎ কমপক্ষে ৩০ শতাংশ লভ্যাংশ দিতে হবে।’

‘যদি কোনো কোম্পানি এরূপ করতে ব্যর্থ হন তাহলে প্রতিবছরে রিটেইন আর্নিং, ফান্ড, রিজার্ভের মোট অর্থের ওপর ১০ শতাংশ হারে কর আরোপ করা হবে।’

ভ্যাটের ক্ষেত্রেও বেশ কিছু পরিবর্তনের সুপারিশ করেন প্রধানমন্ত্রী। দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করে তাঁত শিল্পে ব্যবহৃত সুতা শিল্পের উপর ৫ শতাংশ মূসকের পরিবর্তে প্রতি কেজি সুতায় চার টাকা হারে সুনির্দিষ্ট করের প্রস্তাব করেন তিনি।

এছাড়া প্রস্তাবিত বাজেটে আমদানি পর্যায়ে কিছু ক্ষেত্রে শুল্কহার পুনর্নির্ধারণ করা হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

‘সমৃদ্ধ আগামীর’ প্রত্যাশা সামনে রেখে আওয়ামী লীগের তৃতীয় মেয়াদের প্রথম বছরে পাঁচ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার বাজেট ১৩ জুন জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। কিছু সংশোধনীসহ রবিবার পাস হবে এই বাজেট।

ঢাকাটাইমস/২৯জুন/আরএ/ডব্লিউবি

সংবাদটি শেয়ার করুন

পুঁজিবাজার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা