মুক্তিপণ না পেয়ে শিশুকে গলাকেটে হত্যা
ঘুমন্ত বাবা-মার কাছ থেকে আড়াই বছরের শিশুকে অপহরণ করে নির্মমভাবে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে। পরে বাড়ির পাশে পাটক্ষেতে থেকে পুলিশ ওই শিশুটির গলাকাটা ও দুই হাত বিচ্ছিন্ন লাশটি উদ্ধার করে।
শনিবার ভোরে দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার বিনাইল ইউনিয়নের হামলাকুড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত শিশুটি ওই গ্রামের কৃষক আখতারুজ্জামান হোসেন শাহিনের ছেলে।
বিরামপুর থানার ওসি মনিরুজ্জামান মনির শিশু আশিক রানা হৃদয়ের লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বিনাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম জানান, রাতে শাহিন ও তার স্ত্রী রোজিনা বেগম ঘরের দরজা খোলা রেখে খাটে দুজনের মাঝে আশিক রানা হৃদয়কে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ৩টার দিকে বিছানায় শিশু সন্তান হৃদয়কে না পেয়ে চিৎকার করেন। সেই সাথে শাহিনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও খুঁজে পাচ্ছিলেন না।
শিশুটির বাবা শাহিন জানান, শনিবার সকাল ৮টার দিকে তার ব্যবহৃত ফোন থেকে শিশুটির মামী রুবি আক্তারকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি ফোন দিয়ে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। মুক্তিপণ না দিলে অপহৃত শিশুটিকে হত্যা করা হবে বলে জানানো হয়। সকাল সাড়ে নয়টা পর্যন্ত অপহরণকারীরা মুক্তিপণ চেয়ে চারবার ফোন করে।
পরে ওই ফোন থেকে সকাল সাড়ে নয়টার দিকে অপহরণকারীরা ফোন দিয়ে জানায়, লাশটি গলাকাটা অবস্থায় বাড়ির পার্শ্বে পাটক্ষেতে রয়েছে। এসময় পরিবারসহ প্রতিবেশীরা সেই পাটক্ষেত থেকে ওই শিশুটির দুই হাত, বুক ও পেট কাটা অবস্থায় ক্ষত-বিক্ষত লাশ দেখতে পায়। পরে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে।
শিশুটির মা রোজিনা বেগম অভিযোগ করে বলেন, সে তার স্বামী শাহিনের ২য় স্ত্রী। তিনি বলেন, আগের পক্ষের স্ত্রীর লোকজন এই হত্যাকাণ্ড ঘটনা ঘটাতে পারে।
বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মনিরুজ্জামান জানান, লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে শিশুটির সৎ মা রোজিনা খাতুন ও তার স্বামী আকরামুল ইসলাম এবং শিশুটির মামী রুবি আক্তার, পিয়ারুল ইসলাম ও আলমগীর হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
(ঢাকাটাইমস/২৯জুন/এলএ)