সিনেমা বানাচ্ছি তবে ভয়ে আছি: সাগর জাহান

হিমু আক্তার
| আপডেট : ৩০ জুন ২০১৯, ১৪:৪৫ | প্রকাশিত : ৩০ জুন ২০১৯, ১৩:২১

টেলিভিশন নাটকের তুমুল জনপ্রিয় একজন নির্মাতা সাগর জাহান। যার প্রতিভা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। আরমান ভাই, সিকান্দার বক্স, অ্যাভারেজ আসলাম, মাহিনের লাল ডায়েরী, ফ্যাটম্যানসহ বেশ কিছু দর্শকপ্রিয় নাটকের সঙ্গে জড়িয়ে আছে তার নাম। প্রতিটি নাটকেই তিনি হাসি-আনন্দের মাধ্যমে বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার তিনি পা রাখতে যাচ্ছেন বড় পর্দায়। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের ডিসেম্বরে নিজের প্রথম সিমেনার শুটিং শুরু সাগর জাহান। সম্প্রতি নিজের সমসাময়িক ব্যস্ততার পাশাপাশি বড় পর্দায় নিজের নতুন যাত্রা নিয়ে কথা বলেছেন ঢাকা টাইমসের সঙ্গে ।

এখন ব্যস্ততা কী নিয়ে?

সামনে কোরবানির ঈদ। এই ঈদে সময়টা খুব কম। আপাতত ব্যস্ততা ঈদের নাটক নিয়েই। তাছাড়া ‘সোনার খাঁচা, রূপার খাঁচা’ শিরোনামে আমার একটি ধারাবাহিক যাচ্ছে এনটিভিতে। সেই ধারাবাহিক এবং ঈদের নাটক নিয়েই ব্যস্ততা।

ঈদকে উপলক্ষে কোনও বিশেষ পরিকল্পনা আছে?

রোজার আগে থেকে একটা পরিকল্পনা ছিল, আমি মিডিয়া কেন্দ্রিক কিছু বানাব। যার একটা নাটক প্রচার হয়েছে রোজার ঈদে। আর কোরবানির ঈদে যাবে বৃন্দাবন দাদার লেখা ‘হ্যাভিওয়েট মিজান’। আর এখন কাজ চলছে ‘কোনো এক বিকেলে হলুদ শাড়ি’ নাটকের। এটাও মিডিয়া কেন্দ্রিক। একজন মেকআপ আর্টিস্ট নিয়ে একটু ভিন্ন ধরনের। আরেকটা গল্প আছে সেটাও মিডিয়া কেন্দ্রিক। তবে সবগুলোতে আলাদা আলাদা গল্পের মাধ্যমে মিডিয়ার বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে।

বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় নাটকের সঙ্গে আপনার নাম জড়িয়ে আছে। এটা কতটা আনন্দ দেয়?

২০০৪-২০০৫ সাল থেকে যখন লেখালেখি শুরু করি, তখন থেকেই কাজের মাধ্যমে দর্শকদের কিছু না কিছু বার্তা দেয়ার চেষ্টা করি। আমি সবসময় সময় চেষ্টা করেছি, দর্শকরা যেন আমার নাটক দেখে আনন্দ পান। সবসময় চেষ্টা ছিল ভিন্ন কিছু করার। সেটাই করেছি। কিছু কৌঁশল বের করছিলাম যে, কীভাবে মানুষকে নাটক দেখানো যায়। সেই পরিকল্পনা থেকেই ‘আরমান ভাই’ নির্মাণ করি এবং তাতে সফল হই।

শোনা যাচ্ছে নির্মাতা হিসেবে বড় পর্দায় পা রাখতে চলেছেন?

আমি সিনেমা পরিবার থেকে উঠে এসেছি। সেখানেই বেড়ে ওঠা। এ জন্যই সিনেমা নির্মাণে হাত দিচ্ছি। তবে ভয়ে আছি। আমি যে সিনেমা বানাব সেটা প্রেক্ষাগৃহে দর্শক টানবে তো? কারণ আমাদের সিনেমা দেখার ভালো হল নেই, ভালো পরিবেশ নেই। পরিচালকরা ছবি বানিয়ে লোকসানের মুখে পড়ছে। মাঝে মাঝে বাইরে থেকে শুনি, একটা সিনেমা অনেক হিট। কিন্তু ভেতরের খবর, পরিচালকের ছবি বানানোর টাকাই উঠেনি। হয়তো ঢাকায় জমজমাট, কিন্তু সেটা কতদিন? এক-দুই সপ্তাহ পর হিট সিনেমাগুলোর হলও খালি। আসলে আমাদের সিনেমা বানানোর আগে পরিমিত হল দরকার। যেখানে পরিবার নিয়ে সিনেমা দেখার সুন্দর পরিবেশ থাকবে। এসব নিয়েই খুব ভয় হয়।

কবে থেকে কাজ শুরু করতে যাচ্ছেন?

সিনেমার পরিকল্পনা প্রায় শেষের দিকে। পরিচালক হওয়ার জন্য ইতোমধ্যে আমি ইন্টারভিউ দিয়ে পাস করেছি। চিত্রনাট্য তৈরি হয়েছে। কোরবানি ঈদের পর টানা তিন মাসে লেখা শেষ করব। সবমিলিয়ে চলতি বছরের ডিসেম্বরে আমার প্রথম সিনেমার শুটিং শুরু করব।

প্রথম নাটকে বেশ সাড়া ফেলেছিলেন। প্রথম সিনেমাতেও তেমন কিছুর আশা?

আসলে আমি নাটকের মাধ্যমে সবসময় দর্শকদের আনন্দ দেয়ার চেষ্টা করেছি। চেষ্টা করেছি গল্পের ছলে নানা মেসেজ দেয়ার। সিনেমাতেও সেটা করতে চাই। আমি চাই দর্শকরা যা দেখুক আনন্দ নিয়ে দেখুক। আমার আশা ও পরিকল্পনা তেমনই।

নতুন যাত্রার আগে দর্শকদের উদ্দেশ্যে কোনো বক্তব্য?

সিনেমা বানানোর আগে আমরা সবাই এক কথাই বলি যে, হলে গিয়ে সিনেমা দেখুন। আমার মনে হয়, এটা বলা উচিত নয়। দর্শকদের হলে যাওয়ার কথা বলার আগে আমাদের উচিত হলের পরিবেশ ঠিক করা। আমাদের হল কতগুলো! দর্শকদের উদ্দেশ্য আপাতত এতটুকুই বলব যে, আমরা আমাদের সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করছি আপনারা আসুন, দেখুন। আপনাদের যদি আনন্দ দিতে পারি তাতেই আমাদের সার্থকতা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিনোদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :