অপহরণের ছয় দিনেও উদ্ধার হয়নি কলেজছাত্রী

পঞ্চগড়ে অপহরণের ছয় দিনেও উদ্ধার করা যায়নি এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রীকে। অক্ষত অবস্থায় মেয়েকে ফিরে পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন ওই ছাত্রীর বাবা। এ ঘটনায় গত শনিবার রাতে কলেজছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে সদর থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন।

মামলায় পাশের গ্রামের শাহাজাদ হোসেন ও তার বাবাসহ পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। অভিযুক্ত অন্য আসামিরা হলেন- শাহাজাদ হোসেনের বন্ধু ইমন, বাবা লোফাজুল, খালু লাবলু ও তার (খালুর) বাবা নাজিম উদ্দীন । অভিযুক্তরা সবাই সদর উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। মামলার পরপরই অভিযুক্তরা গা ঢাকা দিয়েছেন।

মামলার এজাহার, পুলিশ ও অপহৃত কলেজছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা জানায়, অপহৃত কলেজছাত্রী জেলা শহরের একটি স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। কলেজে যাতায়াতসহ বিভিন্ন সময় সদর উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের খালপাড়া এলাকার দোকান কর্মচারী শাহাজাদ হোসেন তাকে প্রেমের প্রস্তাবসহ নানা কু-প্রস্তাব দিত। বিষয়টি ওই ছাত্রী তার বাবাকে জানালে তার বাবা অভিযুক্ত তরুণ ও তার পরিবারকে মৌখিকভাবে সতর্ক করেন। গত মঙ্গলবার (২৫ জুন) ভোরে ওই ছাত্রী প্রাইভেট পড়ার জন্য অটোভ্যান যোগে কলেজে যাচ্ছিলেন। এ সময় পঞ্চগড়-আটোয়ারী সড়কের বাঁশবাড়ি মাদ্রাসার সামনে থেকে তাকে অভিযুক্ত শাহাজাদ হোসেন ও তার সহযোগীরা একটি মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে যায়।

অপহৃত কলেজ ছাত্রীর বাবা বলেন, ‘প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ার আক্রোশে আমার মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই আমি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও থানায় ধর্ণা দিচ্ছি। ছয় দিনেও মেয়ের কোন হদিস পাইনি। সে এখন কোথায় কি অবস্থায় আছে- তাও জানি না। আমি বড় কোন অঘটনের আশঙ্কা করছি।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সদর থানা পুলিশের এসআই রুহুল ইসলাম বলেন, ‘মামলার পর থেকেই কলেজছাত্রীকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। মামলায় অভিযুক্তরা সবাই পালিয়ে রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারের সবরকম চেষ্টা চলছে।’

(ঢাকাটাইমস/৩০জুন/এলএ)