৮০ বসন্তে আবদুল হাদী

প্রকাশ | ০১ জুলাই ২০১৯, ০৯:০৭ | আপডেট: ০১ জুলাই ২০১৯, ০৯:১০

বিনোদন প্রতিবেদক

বাংলা গানের অন্যতম প্রবাদ পুরুষ, জীবন্ত কিংবদন্তি শিল্পী সৈয়দ আবদুল হাদী। তার গাওয়া কালজয়ী অনেক দেশের গানই শ্রোতাদের দেশপ্রেমে উজ্জীবিত করে। পঞ্চাশ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি গান গাইছেন। পেয়েছেন স্বীকৃতিও। গোলাপী এখন ট্রেনে (১৯৭৮), সুন্দরী (১৯৭৯), কসাই (১৯৮০), গরীবের বউ (১৯৯০) ও ক্ষমা (১৯৯২) ছবিগুলোতে গান গেয়ে পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেছেন সৈয়দ আবদুল হাদী।

আজ সেই কিংবদন্তি শিল্পীর জন্মদিন। ১৯৪০ সালের আজকের এই দিনে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার শাহপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। সেই হিসেবে আজ ৭৯ বছর পেরিয়ে ৮০ বছরে পা রাখলেন আবদুল হাদী। তবে বিশেষ এ দিনটিকে ঘিরে শিল্পীর নেই তেমন কোনো আয়োজন। তবে কয়েকটি টিভি চ্যানেলে রয়েছে তার গানের বিশেষ অনুষ্ঠান।

সংগীতশিল্পী বাবা সৈয়দ আবদুল হাইয়ের শখের গ্রামোফোন রেকর্ডের গান শুনে কিশোর সৈয়দ আবদুল হাদীর সংগীতের প্রতি ভালোবাসা তৈরি হয়। সেসব রেকর্ডের গান শুনে গাইতে গাইতেই ছোটবেলা থেকে তিনি গান শিখেছেন। তারপর আর থেমে থাকেননি। নিরন্তর গান গেয়ে পৌঁছে গেছেন খ্যাতির শীর্ষে।

১৯৫৮ সালে আবদুল হাদী ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে। ১৯৬০ সালে ছাত্রজীবন থেকেই তিনি চলচ্চিত্রে গান গাওয়া শুরু করেন। তখনকার সিনেমায় প্লেব্যাক মানে ছিল উর্দু ছবিতে গান গাওয়া। ১৯৬৪ সালে আবদুল হাদী একক কণ্ঠে প্রথম বাংলা সিনেমা ‘ডাকবাবু’-তে গান করেন। এরপর গত ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে অসংখ্য জনপ্রিয় গানে কণ্ঠ দিয়েছেন নন্দিত এই শিল্পী। যার কারণে চলচ্চিত্রের কণ্ঠশিল্পী হিসেবেই সৈয়দ আবদুল হাদীকে সবাই চেনেন-জানেন।

তার গাওয়া গানের মধ্যে ‘যেও না সাথী’, ‘চোক্ষের নজর এমনি কইরা একদিন খইয়া যাবে’, ‘একবার যদি কেউ ভালোবাসতো’, ‘চলে যায় যদি কেউ বাঁধন ছিঁড়ে কাঁদিস কেন মন’, ‘জন্ম থেকে জ্বলছি মাগো আর কতদিন বলো সইবো;, ‘আছেন আমার মোক্তার আছেন আমার ব্যারিস্টার’, ‘এমনওতো প্রেম হয়’, ‘চোখ বুঝিলে দুনিয়া আন্ধার’, ‘যে মাটির বুকে ঘুমিয়ে আছে’ এবং ‘আউল-বাউল লালনের দেশে মাইকেল জ্যাকসন আইলো রে’ উল্লেখযোগ্য। তিনি রবীন্দ্রসংগীতও গেয়েছেন।

গান গাওয়ার পাশাপাশি সৈয়দ আবদুল হাদী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন। বাংলাদেশ টেলিভিশনে (বিটিভি) প্রযোজক হিসেবেও তিনি কাজ করেছেন। সর্বশেষে তিনি লন্ডনে ওয়েল্স ইউনিভার্সিটিতে প্রিন্সিপাল লাইব্রেরিয়ান হিসেবে কাজ করেছেন। বর্তমানে এ কাজ থেকে তিনি অবসরে রয়েছেন। 

ঢাকাটাইমস/০১ জুলাই/এএইচ