‘গ্যাসের দাম বৃদ্ধি জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা’
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) একটি সাংবাদিধানিক প্রতিষ্ঠান। যার কাজ জ্বালানি বিষয়ে জনগণের স্বার্থ রক্ষা করা। দেশের ছয়টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পাঁচটি প্রতিষ্ঠান লাভজনক অবস্থায় থাকার পরেও জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি জনগণের সাথে বিইআরসির ‘বিশ্বাস ঘাতকতা’ বলে মনে করেন বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি মার্কসবাদী’র সাধারণ সম্পাদক ও গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সমন্বয়ক এম এ সামাদ।
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)’র উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এম এ সামাদ বলেন, ‘সরকারের ভুল নীতি, দুর্নীতি ও লুটপাটের দায় জনগণ নেবে না। বিইআরসি একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। তাদের দায়িত্ব হলো জ্বালানি বিষয়ে জনগণের ওপর সরকার বা অন্য কেউ যাতে অযৌক্তিক অন্যায় কিছু চাপিয়ে দিতে না পারে সে বিষয়টি দেখা। আইনে আছে, গ্যাস ও বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলো লাভজনক অবস্থায় থাকলে দাম বাড়ানো যাবে না।’
জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত মেনে নেয়া না হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার হুকুম দিয়ে তিনি বলেন, ‘গণবিরোধী এই সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় হরতাল অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচির মাধ্যমে তা বাতিল করতে বাধ্য করা হবে।’
সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)’র কেন্দ্রীয় নেতা বিজ্ঞানী সামছুল হক সরকার, মোস্তফা আল খালিদ বিন মাহমুদ, নূরুল ইসলাম (বাবু), শহীদ আসাদ পরিষদের আহ্বায়ক শামসুজ্জামান মিলন, নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক সামছুদ্দিন, গণসংগঠক মাহাবুব খোকন, যুবনেতা হানিফ বাংলাদেশি ও পার্টির কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর নেতারা।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। তোপখানা রোডের দলীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে মিছিলটি শেষ হয়।
(ঢাকাটাইমস/০১জুলাই/কারই/জেবি)