প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ: ১১ শিক্ষক বরখাস্ত

প্রকাশ | ০১ জুলাই ২০১৯, ১৮:৫৩ | আপডেট: ০১ জুলাই ২০১৯, ১৯:২৮

নেত্রকোণা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসকারী চক্রের ৩২ জনকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় ১১ জন সরকারি প্রাথমিক শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ দিকে এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে আটজনকে দুই দিনের পুলিশি হেফাজতে দিয়েছে আদালত।

সোমবার সকালে শিক্ষক বরখাস্তের কথা জানিয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ওবায়দুল্লাহ জানান, সাময়িক বরখাস্ত ১১ জনের মধ্যে তিনজন প্রধান শিক্ষক ও বাকি আটজন সহকারী শিক্ষক। তারা সরকারি চাকরি বিধি ভঙ্গ করে অপরাধে জড়িয়ে কারাগারে আছেন। এ কারণেই তাদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

বরখাস্ত শিক্ষকরা হলেন- কেন্দুয়া উপজেলার বলাইশিমুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান ছোটন, বড়বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সাকি ও পানগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তুহিন আক্তার, কেন্দুয়া উপজেলার দিগদাইর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মজিবুর রহমান, নওপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হাওয়া বেগম, লিপা মুনালিসা, বলাইশিমুল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মরিয়ম আক্তার, কেন্দুয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক তাহমিনা আক্তার, মদন উপজেলার জঙ্গলটেঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক জেবুন্নাহার ডলি, খাগরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক লাকি আক্তার ও আটপাড়া উপজেলার তেলিগাতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক স্মৃতি খানম।
পুলিশি হেফাজতে যাদেরক দেয়া হয়েছে, তারা হলেন- বলাইশিমুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান ছোটন, নওপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আজহারুল ইসলাম, শরিফুজ্জামান ভূইয়া মিন্টু, দিগদাইর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাথমিক শিক্ষক মজিবুর রহমান, বিকাশ দে, জুয়েল মিয়া, আবুল বাশার, বিলাস সরকার।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কেন্দুয়া থানার এসআই আবুল বাশার জানান, নেত্রকোণা জ্যেষ্ঠ বিচারিক আদালত-১ এ আটজনকে সাত দিনের পুলিশি হেফাজতে নেয়ার আবেদন করা হয়। গত রবিবার বেলা সোয়া ১টার দিকে শুনানি শেষে আদালতের হাকিম শরিফুল হক তাদের দুই দিনের হেফাজতে দেন।

তিনি জানান, এই চক্রটির সাথে জড়িত আছে এমন আরো অনেকের নাম তদন্তে বেরিয়ে আসছে। এসব যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এ ঘটনায় কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।

গত শুক্রবার সকালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা চলার সময়ে উপজেলার টেংগুরি এলাকার ব্যবসায়ী  শামিম আহমেদের বাড়ি থেকে প্রশ্ন ফাঁসকারী চক্রের ৩২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে পুলিশ ৯৭ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও পাবলিক পরীক্ষা (অপরাধ) আইনে মামলা করে।

(ঢাকাটাইমস/১জুলাই/এলএ)