তাহিরপুরের সেই ইউএনওর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলেন ভুক্তভোগী নারী

প্রকাশ | ০১ জুলাই ২০১৯, ২১:৫৩ | আপডেট: ০১ জুলাই ২০১৯, ২১:৫৯

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসিফ ইমতিয়াজের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারির বিষয়ে সাক্ষী দিতে আসেন ওই নারী। সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হারুনূর রশিদের কার্যালয়ে অভিযুক্ত ইউএনও অসিফ ইমতিয়াজ ও অভিযোগকারী ওই নারীর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

শুনানিতে নারীর পক্ষে অংশগ্রহণ করেন, সুনামগঞ্জ সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শামছুন্নাহার বেগম শাহানা রব্বানী, এডিশনাল এপিপি সামসুল অবেদীন ও হিমেল।

অভিযোগকারী নারী প্রকাশ্যে উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে ইউএনও আসিফ ইমতিয়াজের প্রেম পরবর্তী তাকে ফুসলিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সাথে সংসার করার কথা জানান।

ওই নারী জানান, তাকে চাকরি দেবেন বলে আসিফ ইমতিয়াজ তার কাছ থেকে ১১ লাখ ৭০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। সম্পর্কের এক পর্যায়ে কাবিননামা করে দীর্ঘদিন তারা স্বামী-স্ত্রীর মতো বাসা ভাড়া নিয়ে ঢাকার মীরপুরে একটি ফ্লাটে বসবাস করলেও হঠাৎ ওই নারীর গর্ভে সন্তান আসায় ইউএনও তাকে সন্তান নষ্ট করার কথা বলেন। ইউএনও’র এমন প্রস্তাবে রাজি না হলে ওই নারীকে বিয়ে না করার জন্য জানিয়ে দেন। পরে ওই নারী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ইউএনও বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। এ কারণে ইউএনও তার লোক দিয়ে ওই নারীর উপর হামলা চালালে অন্তঃস্বত্তা অবস্থায় তিনি একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে তার প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ হয়ে গর্ভের সন্তান নষ্ট হয় বলে জানান ওই নারী। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ওই নারী ইউএনওর বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রথম দফা সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (স্থানীয় সরকার বিভাগ শাখা) এমরান হোসেনকে দায়িত্ব দিলে ওই নারী তদন্ত কর্মকর্তার আচরণে এমরান হোসেনের সাথে কথা বল্লে তিনি প্রভাবিত হয়েছেন মর্মে আবারো তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন করার জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে লিখিত আবেদন করেন। ওই ভিকটিম নারীর আবেদনের পর সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হারুনূর রশিদকে তদন্ত ভার দেয়া হয়।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত তাহিরপুর উপজেলার ইউএনও আসিফ ইমতিয়াজের সাথে তদন্ত কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে কথা বলতে চাইলে তিনি, তার হাতে থাকা ফাইল দিয়ে মুখ ঢেকে বক্তব্য দেবেন না বলে জানিয়ে একটি কক্ষে দ্রুত প্রবেশ করেন।

 এ ব্যাপারে তদন্তকারী কর্মকর্তা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হারুনুর রশিদের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, উভয়পক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে। তদন্তের স্বার্থে তিনি কিছু না বলে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে তদন্ত প্রতিবেদন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করবেন বলে জানান।

(ঢাকাটাইমস/১জুলাই/এলএ)