হলি আর্টিজান মামলা

সাক্ষ্য দিলেন ভারতীয় চিকিৎসক

প্রকাশ | ০২ জুলাই ২০১৯, ১৭:২৫

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলা মামলায় ভারতীয় নাগরিক ডা. সত্য প্রকাশসহ দুজন সাক্ষ্য দিয়েছেন। অপরজন হলেন রিকশাচালক মো. আসলাম হোসেন।

আজ মঙ্গলবার ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মনির কামাল তাদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। পরে আগামী ৯ জুলাই পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করেন বিচারক।

২০০২ সাল থেকে বাংলাদেশে বসবাসরত ডা. সত্য প্রকাশ ট্রাইব্যুনালে বলেন, ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাত সাড়ে আটটার দিকে গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে খেতে যান তিনি। সন্ত্রাসীরা রেস্টুরেন্টের ভেতরে প্রবেশ করে গোলাগুলি শুরু করে। তার পাশে বসা  একজন গুলিবিদ্ধ হন।

এরপর সন্ত্রাসীরা ড. সত্য প্রকাশের টেবিলের পাশে যায়। তারা তাকে জিজ্ঞাসা করে, তিনি  বাংলাদেশি কি না। তিনি নিজেকে বাংলাদেশি বলে পরিচয় দেওয়ায় সন্ত্রাসীরা তার কোনো ক্ষতি না করার অভয় দেয়।

ড. সত্য প্রকাশের ভাষ্য, ‘তখন সন্ত্রাসীরা আমাকে বলে, আপনি ভয় পাবেন না। আমরা আপনার কোনো ক্ষতি করব না। আপনি টেবিলের নিচে মাথা নিচু করে বসে পড়ুন।’ সারারাত আমি টেবিলের নিচে বসে থাকি। সারা রাত গোলাগুলি চলে। অনেক রক্তাক্ত লাশ দেখতে পাই।

এ সাক্ষীর জবানবন্দির পর আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহম্মেদ তাকে জেরা করেন। এ নিয়ে এই মামলায় ২১১ জন সাক্ষীর মধ্যে ৬২ জনের সাক্ষ্য নেয়া শেষ হলো।

সাক্ষ্য গ্রহণকালে আসামি মামুনুর রশীদ ওরফে রিপন, শফিকুল ইসলাম ওরফে খালেদ, হামলার মূল সমন্বয়ক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক তামিম চৌধুরীর সহযোগী আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে আবু জাররা ওরফে র‌্যাশ, ঘটনায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহকারী নব্য জেএমবি নেতা হাদিসুর রহমান সাগর, নব্য জেএমবির অস্ত্র ও বিস্ফোরক শাখার প্রধান মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, জঙ্গি রাকিবুল হাসান রিগ্যান, জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব ওরফে রাজীব গান্ধী ও হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী আব্দুস সবুর খান (হাসান) ওরফে সোহেল মাহফুজকে কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গিরা হামলা চালিয়ে ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে। জঙ্গিদের গ্রেনেড হামলায় ডিবি পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) রবিউল ইসলাম ও বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন নিহত হন।

(ঢাকাটাইমস/২জুলাই/মোআ)