পাটপণ্যের বাজার সৃষ্টিতে জোর দিতে হবে: পাটমন্ত্রী

প্রকাশ | ০৩ জুলাই ২০১৯, ১৯:২৬ | আপডেট: ০৩ জুলাই ২০১৯, ২০:৪০

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

পাটপণ্যকে জনবান্ধব করার মাধ্যমে দেশের ভেতরে বাজার সৃষ্টির ওপর জোর দিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতীক)। পাটজাত পণ্যের প্রসার ও উন্নয়নের জন্য এ ধরনের পণ্য জনবান্ধব করার কোনো বিকল্প নেই বলেও মনে করেন তিনি।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর মতিঝিলে করিম চেম্বারে বহুমুখি পাটপণ্য মেলার উদ্বোধনকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টারের (জেডিপিসি) উদ্যোগে শুরু হয়েছে এই মেলা।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছয় দফা দাবির প্রসঙ্গ টেনে গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, ‘ছয় দফার মধ্যে পাটপণ্যের অধিকার নিয়ে লেখা ছিল। তখন পাটই ছিলো আমাদের একমাত্র অর্জনের বস্তু। বঙ্গবন্ধুর যেমন পাটপণ্য নিয়ে আবেগ ছিলো তেমনিভাবে তার মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারও পাটপণ্য নিয়ে আবেগ আছে। পাটপণ্যকে এগিয়ে নিতে আমাদের সবাইকে চিন্তা করতে হবে। বহুমুখি পাটপণ্যকে জনবান্ধব করতে হবে। ভারত ৮০ শতাংশ পাট পণ্য নিজেরাই নিজেদের দেশে বিক্রি করে তাহলে আমরা কেন পারব না? এজন্য নিজেদের ঘরের মার্কেট ধরতে হবে। তাহলে দেশের উদ্যোক্তারা লাভবান হবেন ও পাটজাত পণ্যের প্রসারে এগিয়ে আসবেন।’

মন্ত্রী আরও বলেন, মেলায় পাটের ২৮০টি পণ্য প্রদর্শিত হচ্ছে। অন্যদিকে, ১১৮টি দেশে পাটপণ্য রফতানি করা হচ্ছে। সরকারের সহযোগিতায় বিজ্ঞানীরা পলিথিনের বিকল্প হিসেবে সোনালি ব্যাগ উদ্ভাবন করেছেন। বর্তমানে প্রতিদিন দুই হাজার সোনালি ব্যাগ তৈরির সক্ষমতা নিয়ে প্রকল্পটি চালু আছে। আগামীতে দৈনিক এক লাখ সোনালি ব্যাগ তৈরির পরিকল্পনা নিয়ে কাজ চলছে। এ ছাড়া, এবার পাটপণ্য রপ্তানিতে ২০ শতাংশ ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, পাটকাঠি থেকে কার্বন তৈরি করে চীনে রপ্তানি করা হচ্ছে। অপরদিকে, পাট পাতা থেকে উৎপাদিত ২.৪ টন চা ২০১৭-১৮ অর্থবছরে জার্মানিতে রপ্তানি করে ৩৬ হাজার ডলার আয় হয়েছে। আগামীতে এই রপ্তানি আরও বাড়বে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, ‘বিদেশিরা এখন বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চায়। দেশে পাটের বিশাল বাজার রয়েছে। অন্য দেশ নিজেরা নিজেদের পাটের বাজার ধরতে পারলে আমরা কেন পারব না? দেশে পাটের ব্যবহারে বাড়াতে হবে। প্রয়োজনে প্রাইভেট সেক্টরকে যুক্ত করতে হবে। তাহলে, উদ্যোক্তারা যেমন লাভবান হবে দেশের পাটখাত এগিয়ে যাবে।’

শিল্পমন্ত্রী বলেন, 'দেশে পাট ও পাটজাত পণ্যের স্থানীয় বাজার আরও সম্প্রসারণ করতে হবে। এজন্য বহুমুখী পাট পণ্যের নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি করতে হবে। আগ্রহী নতুন উদ্যোক্তাদের নরসিংদী পাটকল, বিসিক শিল্পনগরীসহ অন্যান্য স্থানে প্রয়োজনে প্লট প্রদান করা হবে।'

পরে শিল্পমন্ত্রী এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী পাঁচ দিনব্যাপী বহুমুখী পাটপণ্য মেলার বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, জেডিপির অতিরিক্ত সচিব ও নির্বাহী পরিচালক রীনা পারভীন, পাট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শামসুল আলম, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন ও সাবেক সচিব মিজানুর রহমান, জেডিপিসি নির্বাহী পরিচালক প্রমুখ।

ঢাকাটাইমস/ জেআর/আরএ/০৩ জুলাই