আশুলিয়ায় অবৈধ গ্যাসের লিকেজ থেকেই বিস্ফোরণ
সাভারের আশুলিয়ায় বিস্ফোরণে একতলা ভবন ধসে হতাহতের ঘটনার কারণ হিসেবে অবৈধ গ্যাস সংযোগকে দায়ী করেছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ওই এলাকায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করে তিতাস। বিকাল পর্যন্ত বিচ্ছিন্ন করা হয় ৩ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে প্রায় ৫০০ অবৈধ আবাসিক গ্যাস সংযোগ।
আশুলিয়ার কাঠগড়া এলাকায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার অভিযান পরিচালনায় এসে সাভার আঞ্চলিক তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপক (বিপণন) আবু সাদাত মো. সায়েম একথা জানান।
অভিযানে কাঠগড়া এলাকায় বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার এলাকায় প্রায় ৫০০ অবৈধ আবাসিক গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এ সময় প্রায় ২ হাজার গ্যাসের চুলা ও রাইজার জব্দ করা হয়।
সাভার আঞ্চলিক তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ব্যবস্থাপক (বিপণন) আবু সাদাত মো. সায়েম বলেন, বুধবার সকালে কাঠগড়া এলাকায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে এক শিশু নিহত ও আরো চারজন আহত হয়েছেন। এর আগেও ৫-৬ বার এই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে তিতাস কর্তৃপক্ষ। এ সময় দোষীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের, গ্রেপ্তার ও জরিমানাও করা হয়। কিন্তু তারপরও সাধারণ মানুষ অসাধুদের প্ররোচণায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ ব্যবহার বন্ধ করছেন না। এর ফলে উচ্চ চাপের গ্যাস সরবরাহের লাইন থেকে নিম্নমানের ফিটিংস ব্যবহার অবৈধভাবে নেওয়া এসব সংযোগ থেকে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। তবে দীর্ঘদিন ধরে যদি এসব অবৈধ সংযোগ ব্যবহার করা হয় তাহলে ভবিষ্যতে দুর্ঘটনা ও হতাহাতের সংখ্যা আরো বাড়বে বলেও জানান তিনি।
তাই জনগণকে ঝুঁকিপূর্ণ অবৈধ গ্যাস সংযোগ ব্যবহার থেকে বিরত হয়ে নিজেদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সচেতন থাকার আহ্বান জানান তিনি।
এর আগে গত বছরের ২ নভেম্বর সকালে আশুলিয়ার জামগড়ার মানিকগঞ্জপাড়া এলাকার কবরস্থান রোডে আব্দুল হামিদের মালিকানাধীন ভবনে গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ হয়েছিল। সেই ঘটনায় শিশুসহ একই পরিবারের পাঁচজন দগ্ধ হন। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
ঢাকাটাইমস/০৪জুলাই/ইএস