আত্মগোপনে থেকে অপহরণ মামলা, অতঃপর ধরা
১৪মাস আগে ঢাকার দোহারের আব্দুর রহীম অপহরণ হয়েছেন বলে মামলা করে তার পরিবার। সেই মামলায় জেলও খেটেছেন দুজন। অথচ ঢাকা জেলা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্তে বেরিয়ে এল প্রকৃত ঘটনা।
আব্দুর রহীম অপহরণ নয়, প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজেই আত্মগোপনে ছিলেন এতদিন। বুধবার পটুয়াখালীর কলাপাড়া থানার বানাতি বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে একথা জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার পিবিআইয়ের উপপরিদর্শক সালেহ ইমরান ঢাকাটাইমসকে বলেন, বুধবার সকালে আত্মগোপনে থাকা ওই ব্যক্তিকে পটুয়াখালীর কলাপাড়া থানার বানাতি বাজার এলাকা থেকে আটক করা হয়।
এ সময় তিনি রহীমের আত্মগোপনে যাওয়ার কারণসহ বিস্তারিত তুলে ধরেন।পুলিশ কর্মকর্তা সালেহ বলেন, আব্দুর রহীম একজন ব্যবসায়ী। তিনি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা কেনাবেচা করেন। অটোরিকশা বেচাকেনা নিয়ে কামরুল হাওলাদার ও লিটন মাদবর নামে দুই ব্যক্তির সঙ্গে ২০১৮ সালের মার্চে তার লেনদেন হয়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝামেলা হয়। পরবর্তীতে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতেই আব্দুর রহীম আত্মগোপনে চলে যান।’
তিনি বলেন, পরে তার ছেলে মো. সিফাত বাদী হয়ে কামরুল হাওলাদার, লিটন মাদবর, আলতাফ ও অজ্ঞাত আরও এক ব্যক্তিকে আসামি করে আদালতে অপহরণের একটি নালিশি মামলা করেন।
আদালত সিফাতের অভিযোগটি দোহার থানাকে এজাহার উপলক্ষে গ্রহণ করে তদন্তের নির্দেশ দেন। এরপর দোহার থানা পুলিশ দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। তারা কিছুদিন কারাগারে থাকার পর জামিনে মুক্তি পান।
এদিকে আব্দুর রহীমের কোনো সন্ধান পাচ্ছিল না দোহার থানা পুলিশ। ১১ মাস থানা পুলিশ মামলাটি তদন্ত করেও কোনো হদিস না পাওয়ায় পিবিআইকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর ঢাকা জেলা পিবিআই এক মাসের তদন্ত শেষে আত্মগোপনে থাকা রহীমকে পটুয়াখালী থেকে আটক করে। তাকে আদালতে জবানবন্দির জন্য নেওয়া হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/০৪জুলাই/বিইউ/ইএস)