ভৈরবে ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ, চিকিৎসক আটক

ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
 | প্রকাশিত : ০৫ জুলাই ২০১৯, ০৮:৫৭

ভৈরবে ভুল চিকিৎসায় মো.জুয়েল মিয়া (৩৪) নামে এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে নয়টায় ভৈরবের স্থানীয় ট্রমা জেলারেল হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত জুয়েল মিয়া উপজেলার চন্ডিবের মধ্যপাড়া এলাকার হাজী আলাউদ্দিনের ছোট ছেলে। তিনি একজন পোল্ট্রি ব্যবসায়ী ছিলেন।

এ ঘটনায় হাসপাতাল ভাঙচুর করেছে রোগীর স্বজন ও স্থানীয়রা। তারা হাসপাতাল অবরুদ্ধ করে রাখে। খবর পেয়ে ভৈরব থানার পুলিশ ও র‍্যাব ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে এবং চিকিৎসক কামরুজ্জামান আজাদকে আটক করে।

রোগীর স্বজনদের দাবি, চিকিৎসক ইমরান অপারেশনের সময় এনেস্থিসিয়া দিতে ভুল করেছেন। এছাড়া কোনো পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়াই রোগীকে ভুল ওষুধ দিয়ে অপারেশন থিয়েটারে নেয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে।

রোগীর বড় ভাই মো.কামাল মিয়া জানান, ‘দুই বছর আগে সড়ক দুর্ঘটনায় আমার ভাইয়ের হাতের কবজি ভেঙ্গে যায়। সে সময় কবজিতে অপারেশন করে স্ক্রুসহ দুটি প্লেট লাগিয়ে দেন ডা. কামরুজ্জামান আজাদ। দুই বছর পর সে স্ক্রু ও প্লেট অপসারণের জন্য বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটায় ডা.কামরুজ্জামান আজাদ জুয়েলকে অপারেশনের জন্য অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যান।

‘রাত সাড়ে নয়টার দিকে ওটি থেকে ডাক্তার বের হয়ে বলেন, আপনাদের রোগীর শ্বাসকষ্ট দেখা দিয়েছে। উনাকে ঢাকায় আইসিইউতে নিতে হবে। এরপর তিনি আবার ওটিতে চলে যান। কিছুক্ষণ পর এসে আবার বলেন, আপনার ভাইয়ের কাজটা সুন্দরভাবেই করলাম। যখন বেডে নেব সেসময় শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। সেটা আমরা ক্লিয়ার করতে পারছি না। এখন সেটা সমস্যা লাগছে। তখন আমি তাকে জিঙ্গাসা করলাম, আমার ভাই কি আছে নাকি মারা গেছে। পরে আমি ওটিতে গিয়ে দেখি জুয়েল মারা গেছে। ভুল ওষুধ দিয়ে ওরা আমার ভাইকে মেরে ফেলেছে।’

ডা.কামরুজ্জামান আজাদ জানান, ‘সম্পূর্ণ অজ্ঞানে ঝুঁকি থাকায় রোগীর এক পাশ অবশ করে অপারেশন করা হয়। রোগীর আবদার ছিল, সে যেন কোনো রকম টের না পায়। সেজন্য ঘুম পাড়াতে বলে। তার অনুরোধে ডা. ইমরান তাকে ঘুমের ওষুধ দেন। ২০-২৫ মিনিটের মধ্যে তার হাত থেকে সার্জারির মাধ্যমে স্ক্রুসহ দুটি প্লেট অপসারণ করা হয়। তারপর হঠাৎই রোগীর পেশার কমে যায় এবং তার হৃদপিন্ডের স্বাভাবিক চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরক্ষণেই রোগী মারা যান। ভয়ের কারণেই এমনটা হয়েছে।’

ভৈরব সার্কেল অফিসের সহকারী পুলিশ সুপার রেজাওয়ান দীপু জানান, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশের ফোর্সসহ আমি যাই। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। যে ডাক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। রোগীর স্বজনরা অভিযোগ দিলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে।’

ঢাকাটাইমস/৫ জুলাই/এএইচ

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :