তিনি চাকরি দিতেন!

প্রকাশ | ০৫ জুলাই ২০১৯, ২২:২১ | আপডেট: ০৫ জুলাই ২০১৯, ২২:২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

বেকার যুবকদের সহজেই সরকারি চাকরি দিতেন তিনি। এ জন্য নিতেন মোটা অঙ্কের টাকা। চাকরি প্রত্যাশীরা নিয়োগপত্র নিয়ে কর্মস্থলে গিয়ে দেখতেন তার নিয়োগপত্র ভুয়া। চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে এভাবে যুবকদের সঙ্গে প্রতারণা করত চক্রটি। তাদের মূলহোতা সোহেল শিকদারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ঢাকা মেট্রোর একটি দল।

শুক্রবার বিকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায় পিবিআই। তাতে বলা হয়,  ওই চক্রের বাকি দুই হোতা সেলিনা বেগম ও খলিলুর রহমানকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

পিবিআই জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর ভাষানটেকের রূপালী হাউস নামে একটি বাড়ির সামনে থেকে প্রতারক সোহেল শিকদারকে গ্রেপ্তার করে তারা। তার কাছ থেকে চাকরির গুরুত্বপূর্ণ কাগজ উদ্ধার করা হয়।

পিবিআইয়ের ঢাকা মেট্রোর (উত্তর) বিশেষ পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ জানান, ‘গ্রেপ্তার সোহেল শিকদার নিজেকে এমইএস (সেনাবাহিনীর ঠিকাদার) হিসেবে নিজের পরিচয় দিতেন। তিনি শিপন প্রতাব নামের এক যুবককে সেনা সদরের পূর্ত পরিদপ্তরে অফিস সহকারী পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলেন। এ জন্য সোহেল এসএসসি, এইচএসসিসহ বিভিন্ন সনদের মূলকপি রেখে দেন। চাকরি হয়েছে জানিয়ে প্রথম দফায় শিপনের কাছ থেকে তিন লাখ টাকা নেন। টাকা পেয়ে শিপনের হাতে একটি নিয়োগপত্র দেন সোহেল। নিয়োগপত্র দেবার পর আবারও তিন লাখ টাকা দাবি নেন এই প্রতারক।’

‘পরে আর চাকরি হয়নি শিপনের। চাকরি না পেয়ে সব কাগজপত্র ফেরত চাইলে সোহেল গা– ঢাকা দেয়। এভাবে সে আরও কয়েকজনের কাছ থেকে আরও প্রায় ছয় লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। সোহেল শিকদারের এই প্রতারণার সঙে জড়িত তার স্ত্রী সেলিনা ও খলিলুর রহমান নামের এই যুবক।’

(ঢাকাটাইমস/৫জুলাই/এসটি/এলএ)