জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রেলসেতু দিয়ে পারাপার

রাজীবুল হাসান, ভৈরব (কিশোরগঞ্জ)
 | প্রকাশিত : ০৬ জুলাই ২০১৯, ০৮:১৭

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মেঘনা নদীর উপর নির্মিত প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান রেলওয়ে সেতুর উপর দিয়ে জনসাধারণের চলাচল নিষিদ্ধ থাকলেও তা মানছে না কেউ। লোকজন অবাধে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ সেতুর উপর দিয়ে ভৈরব থেকে আশুগঞ্জ যাতায়াত করছে। এতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি যেমন রয়েছে তেমনি ঘটছে হত্যাসহ ছিনতাইয়ের ঘটনা।

জানা যায়, পুরাতন মেঘনা হাবিলদার হালিম রেলসেতু ও দ্বিতীয় জিল্লর রহমান রেলসেতু দিয়ে পারাপার নিষেধ থাকলেও দুই প্রান্তে কোনো গার্ড না থাকায় দল বেঁধে লোকজন ব্রিজের উপর দিয়ে চলাচল করছে। এতে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে অনেকেই। অপরদিকে একটি সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্র সেতু দেখতে আসা দর্শনার্থী ও পথচারীদের জিম্মি করে লুটে নিচ্ছে মূল্যবান জিনিসপত্র। ছিনতাইকারীদের হাতে বহু লোকজন আহত ও নিহত হওয়ার ঘটনাও ঘটছে। কেপিআইভুক্ত এলাকায় সর্বসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকলেও কর্তৃপক্ষ সে দিকে নজর দিচ্ছে না। শুধু সাইনবোর্ড লাগিয়েই তাদের দায় এড়ানোর চেষ্টা করছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

একসঙ্গে তিনটি সেতু দেখতে আসা দর্শনাথীরা বলেন, সেতুর উপর দিয়ে চলাচলে কোনো বাধা না থাকায় তারা নদীর এপার-ওপার চলাচল করে। এখানে পুলিশের কোনো টহল নেই। সাইনবোর্ডে লেখা থাকলেও সেটা কেউ গুরুত্ব দেয় না। আবার অনেকে সাইনবোর্ড পড়তেও পারে না।

সেতু দুটির প্রবেশমুখে ঘুরতে আসা কয়েকজন জানান, এ জায়গাটি অবসর সময় কাটানোর বেশ উপযোগী। এখানে এলে তাদের খুব ভালো লাগে।

সেতু সংলগ্ন পুলিশ ক্যাম্পের এএসআই রফিকুল ইসলাম ঢাকাটাইমসকে জানান, তারা আটজন রেলসেতু দুটির এলাকার সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন। সকাল আটটা থেকে রাত রাত দশটা পর্যন্ত এখানে পালাক্রমে তারা দায়িত্ব পালন করেন। ভৈরব থানা থেকে তাদের এখানে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তবে বাধা উপেক্ষা করেই জনগণ সেতু দিয়ে চলাচল করছে বলে স্বীকার করেন তিনি।

ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ মোখলেছুর রহমান ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘জায়গাটা কেপিআই এলাকা হিসেবে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের স্বীকৃত। তাই ব্রিজের নিরাপত্তা রক্ষায় ওইখানে আমাদের পুলিশ সদস্যরা দিনে-রাতে পাহারা দিচ্ছে।’ পর্যাপ্ত পুলিশ না থাকায় সেতু এলাকায় পুলিশি টহলব্যবস্থার সীমাবদ্ধতা রয়েছে বলে তিনি স্বীকার করেন।

ভৈরব রেলওয়ে থানা অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) আব্দুল মজিদ ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘রেললাইনের উপর ২৪ ঘণ্টা ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। ব্রিজের ওপর দিয়ে মানুষের হাঁটাচলা সম্পূর্ণ বেআইনি ও নিষেধ। তারপরও মানুষ ব্রিজের উপর দিয়ে চলাচল করে থাকে। এ কারণে আমাদের রেলওয়ে পুলিশ প্রায়ই অভিযান চালিয়ে সেতু এলাকা থেকে সাধারণ মানুষকে তাড়িয়ে দেয়া হয়। আবার অনেক সময় নিষেধ অমান্য করে কেপিআই এলাকায় চলাচলের কারণে অনেকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থাও নেয়া হয়ে থাকে।’

রেলওয়ে ওসি জানান, ওই এলাকাটায় ছিনতাইকারীদের উৎপাত থাকে বেশি। বেশ কিছু ছিনতাইসহ হত্যাকা-ও ঘটেছে এখানে। অপরাধ দমনে তারা আন্তরিক ভূমিকা পালন করছেন বলে জানান তিনি।

(ঢাকাটাইমস/০৬জুলাই/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :