‘নানি’ প্রধানমন্ত্রীর কাছে ট্রেনের দাবি নিয়ে শিশুর চিঠি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘নানি’ উল্লেখ করে পাবনার ঈশ্বরদী থেকে গোপালগঞ্জ রুটে আন্তঃনগর ট্রেন চালুর দাবি করে চিঠি পাঠিয়েছে দ্বিতীয় শ্রেণি পড়ুয়া একটি শিশু। ছেলেটির কুষ্টিয়ার মিরপুরে থাকলেও তার নানার বাড়ি গোপালগঞ্জে। এই রুটে ট্রেনে যাওয়ার খুব শখ তার।
শিশুটির নাম তোয়াশ জোয়ার্দ্দার। সে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ‘আমরা নতুন শিক্ষা নিকেতন’ স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র।
গত বৃহস্পতিবার তোয়াশের বাবা মহাম্মদ আলী জোয়ার্দ্দার এই চিঠিটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠান। এতে তোয়াশ লেখে, সে সম্প্রতি ওমরাহ করতে সৌদি আরবে যাওয়া বাবার সঙ্গে গিয়েছিল। সেখানে তবুতরকে সে খাইয়েছে। আর এই ‘কবুতর এক্সপ্রেস’ নামেই ট্রেনটি চালুর দাবি করে সে।
চিঠিতে লেখা হয়, ‘একটি আন্তঃনগর ট্রেন গোপালগঞ্জ থেকে ঈশ্বরদী গামী দ্রুত চালু করবেন। যাতে করে আমি ও আমার পরিবার সকলে মিলে মিরপুর স্টেশন থেকে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানির ধনগ্রামে নানুর বাড়ি যেতে পারি।’
‘আপনি আমার নানুর মতো। প্লিজ দয়া করে আমার অনুরোধটি রাখবেন। আমি আমরা নতুন শিক্ষা নিকেতনের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র। আমার রোল নং ০১।’
তোয়াশের বাবা আলী জোয়ার্দ্দার জানান, বঙ্গবন্ধুর ৭ ভাষণ তার ছেলের খুবই প্রিয়। ৭ মার্চ, স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে উপজেলা পরিষদের অনুষ্ঠানেও এই ভাষণ দেয় সে।
প্রধানমন্ত্রীকে এর আগেও চিঠি লিখেছে দুটি শিশু। একটি শিশু সেতুর দাবি নিয়ে এবং একটি শিশু তার বাড়িতে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি দেয় প্রধানমন্ত্রীকে।
২০১৮ সালের ২৫ মার্চ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের দ্বিতীয় শ্রেণি পড়ুয়া সৈয়দা রওনক জাহান সেঁজুতি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখে তার বাড়িতে আমন্ত্রণ জানিয়ে। শেখ হাসিনাকে তার কাছে তার প্রয়াত দাদির মতো লাগে। আর টিভিতে প্রধানমন্ত্রীকে দেখে দাদির কথা মনে পড়ে।
প্রধানমন্ত্রী এই চিঠির জবাবও দেন সেঁতুজিতে। পাল্টা চিঠিতে শিশুটিকে ভালো করে পড়াশোনা করে দেশে সেবা করার পরামর্শ দেন। সেই সঙ্গে নিজের একটি ছবিও পাঠান।
পায়রা নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে ২০১৬ সালের ১৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখে পটুয়াখালী সরকারি জুবিলী উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্র শীর্ষেন্দু বিশ্বাস। পাল্টা চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী ওই নদীতে সেতু নির্মাণের আশ্বাস দেন।
ঢাকাটাইমস/০৬জুলাই/প্রতিনিধি/ডব্লিউবি