চাকরি স্থায়ীকরণসহ সাত দাবি প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের

প্রকাশ | ০৬ জুলাই ২০১৯, ২০:৩৩ | আপডেট: ০৭ জুলাই ২০১৯, ১৩:২০

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

পল্লী সঞ্চয় ব্যংকের চেয়ারম্যান ড. মিহির কান্তি মজুমদার ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আকবর হোসেনের বিরুদ্ধে আইন ও বিধি লংঘন করে নতুন জনবল নিয়োগ দেওয়াসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ করেছেন বিলুপ্ত ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পের কর্মকর্তা কর্মচারীরা। এই প্রকল্পটি বর্তমানে ‘আমার বাড়ি আমার খামার’ প্রকল্প নামে পরিচিত।

শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করে চাকরি স্থায়ীকরণসহ সাতটি দাবি জানিয়েছেন তারা। দাবি বাস্তবায়ন না হলে ঘরে না ফেরার হুমকি ও রাজপথে জীবন দেওয়ার হুশিয়ারিও দেওয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন আমার বাড়ি আমার খামার প্রকল্প ও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক কর্মকর্তা কর্মচারী সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ সোলায়মান। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সমিতির সভাপতি সেলিম আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন।

মুহাম্মদ সোলায়মান বলেন, প্রকল্প এবং ব্যাংকের আইন ও নিয়োগ বিধি অনুযায়ী, আমার বাড়ি আমার খামার প্রকল্প ও পল্লী ব্যাংক-এ দুটি প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান জনবলকে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এসব বিধান উপেক্ষা করেই ব্যাংকে বাইরে থেকে জনবল নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। এ প্রক্রিয়া বন্ধে উচ্চ আদালতের আদেশ থাকা সত্বেও সম্প্রতি ব্যাংকটিতে প্রায় ১৪৯ জনকে সিনিয়র অফিসার পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

এর আগে ৪৮৫ জন ক্যাশ অফিসার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটাও নিয়ম মেনে করা হয়নি। বলেন, ‘পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের আইন ও প্রবিধানে স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে যে, বিলুপ্ত একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পে কর্মরত জনবল ২০১৬ সালের ১ জুলাই হতে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে স্থানান্তরিত হবে এবং ব্যাংকের বোর্ড কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্ব প্রথম স্থানান্তরিত জনবল হতে নিয়োগ প্রদান করবে। যে সকল পদ প্রকল্পের জনবল হতে পূরণ করা সম্ভব হবে না, শুধুমাত্র সেই সকল পদে উš§ুক্ত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়োগের উদ্যোগ গ্রহণ করবে। কিন্তু আজ পর্যন্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্থায়ীভাবে নিয়োগ প্রদান করা হয়নি।

সংবাদ সম্মেলনে সাতটি দাবি জানান ভুক্তভোগি কর্মকর্তা কর্মচারীরা। এগুলো হলো-২০১৬ সালের ৩০ জুনের পুর্বে নিয়োগকৃত একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের সকল জনবলকে অনতিবিলম্বে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে স্থায়ীকরণের পরিপত্র জারি করতে হবে এবং তাদের স্থায়ীকরণ ও প্রাপ্য সুযোগ সুবিধা প্রদান না করা পর্যন্ত নতুন জনবল পদায়ন করা যাবে না। স্থানান্তর নামক প্রহসন বাদ দিয়ে গত ৩ বছরের ইনক্রিমেন্ট, দৈনিক ভাতাসহ সকল সুযোগ-সুবিধা প্রদান করতে হবে। সকল পদের কর্মকর্তা কর্মচারীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অতিদ্রুত পদোন্নতির ব্যবস্থা করতে হবে। নিয়োগ বানিজ্য কেলেংকারিতে প্রায় অর্ধকোটি টাকা সহ আটক (বর্তমানে জেলে) ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা তোফায়েল আহম্মেদের সাথে জড়িত অন্যদেরও গ্রেপ্তার করতে হবে।

হাইকোর্টের নির্দেশকে পাশ কাটিয়ে রাতের অন্ধকারে দেয়া অবৈধ নিয়োগ বাতিল করতে হবে এবং আন্দোলনরত কোন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে কোনরূপ হয়রানি করা যাবে না।

এর আগে পল্লী সঞ্চয় ব্যংকের চেয়ারম্যান ড. মিহির কান্তি মজুমদার ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আকবর হোসেনের বিরুদ্ধে আইন অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদে এবং প্রকল্প কর্মকর্তা কর্মচারীদের চাকরি সুরক্ষার দাবিতে প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন ভুক্তভোগীরা।

ঢাকাটাইমস/০৬জুলাই/ইএস