আদিবাসীদের আয়কর দিতে বাধ্য করার অভিযোগ

রাঙামাটি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৭ জুলাই ২০১৯, ১০:৩৬ | প্রকাশিত : ০৭ জুলাই ২০১৯, ০৮:৩১

পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসী জনগোষ্ঠীকে আয়কর দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। এ থেকে পরিত্রাণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন রাঙামাটির সিনিয়র নাগরিকরা। এ নিয়ে উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথাও ভাবছেন তারা।

শনিবার বিকালে শহরের একটি রেস্টুরেন্টে এক বৈঠকে তারা বলেন, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রামের পিছিয়ে পড়া আদিবাসী জনগোষ্ঠীকে আয়কর দিতে বাধ্য করা হচ্ছে, যা আয়কর আইন পরিপন্থী। সবক্ষেত্রে তা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। বিভিন্ন স্কুল কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে পর্যন্ত পিতার টিন নম্বর (টেক্সপেয়ার আইডেনটিফিকেশন নম্বর) চাওয়া হচ্ছে। দিতে না পারলে ছেলে ভর্তির প্রক্রিয়া শেষ হচ্ছে না।

ব্যাংকে গাড়ির রেজিস্ট্রেশনের টাকা জমা দিতে গিয়ে অনলাইনে টিন ঘরটি পূরণ না হওয়ায় সার্ভার আবেদনপত্র গ্রহণ করছে না। সার্ভারে টিনের ঘরে বিকল্প কোনো পন্থা রাখা হয়নি। জমি কেনা-বেচার ক্ষেত্রে নেওয়া হচ্ছে। ফলে এক প্রকার আয়কর দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। না হলে বিভিন্ন হয়রানি করা হচ্ছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের এক পরিপত্রে বলা আছে, রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি জেলার যদি কোনো আদিবাসী নিজেকে করযোগ্য বলে স্বেচ্ছায় লিখিত ঘোষণা দাখিল করলে কেবল তাদের ক্ষেত্রে টিন নম্বর দেয়া হবে। যারা করযোগ্য নয় বলে দাবি করবেন তাদের ক্ষেত্রে টিন নম্বর দেয়া হবে না। কিন্তু এটি মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ আদিবাসীদের। তাদের কাছ গণহারে টিন নম্বর চাওয়া হচ্ছে। দিতে বাধ্যও করা হচ্ছে।

তারা আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের বাইরে থেকে দায়িত্ব পালন করতে আসা অনেক সরকারি/বেসরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন আইন নিয়ে অবগত নন। ফলে তারা এসব আইনকে অগ্রাহ্য করেন। এতে আদিবাসী জনগণ হয়রানির শিকার হন।

রাঙামাটি জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি দীননাথ তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, কেউ যদি টিন নম্বর নেন তাহলে সে বা তার পরিবারে লোকজন পরবর্তী সময়ে আইনি জটিলতায় পড়তে পারে।

বৈঠকে গৌতম দেওয়ান, জ্ঞান্দেু বিকাশ চাকমা, সুকুমার দেওয়ান, দীপেন দেওয়ান, দীননাথ তঞ্চঙ্গ্যা, অধ্যাপক মংসানু চৌধুরী, দীপক খীসা, কাজল কান্তি তালুকদার, রাজীব চাকমা, তনয় দেওয়ানসহ জেলার সিনিয়র বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/০৭জুলাই/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :