ব্যয়ের দ্বিগুণ অর্থ আদায়েও বন্ধ হয়নি টোল আদায়

শরীফুল ইসলাম, চাঁদপুর
 | প্রকাশিত : ০৭ জুলাই ২০১৯, ০৯:২১

নির্মাণের ১৪ বছরেও বন্ধ হয়নি চাঁদপুর সেতুর টোল আদায় কার্যক্রম। সেতু নির্মাণ ব্যয়ের দ্বিগুণ অর্থ ইতিমধ্যে আদায় করা হলেও অব্যাহত রয়েছে টোল আদায় কার্যক্রম। এতে সেতু দিয়ে চলাচলকারী যানবাহনের চালক ও যাত্রীদের মাঝে দেখা দিয়েছে অসন্তোষ। শিগগির সেতু ব্যবহারে টোল আদায় বন্ধের উদ্যোগ নেবে সরকার-এমনটাই দাবি জনসাধারণের।

২০০৫ সালে চাঁদপুর সদর উপজেলার গাছতলা এলাকায় ডাকাতিয়া নদীর উপর চাঁদপুর-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে ১৮ কোটি ১২ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় ‘চাঁদপুর সেতু’। ২৪৮ মিটার দৈর্ঘ্যরে এই সেতু দিয়ে প্রতিদিন ছোট, বড় ও মাঝারি ধরনের হাজার হাজার যানবাহান চলাচল করে। প্রতিবার সেতু ব্যবহার করার সময় টোল দেওয়া লাগে যানবাহনের চালকদের।

দীর্ঘ ১৪ বছরে সেতু ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে টোল আদায়ের মাধ্যমে প্রায় ৩৫ কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হয়েছে। সেতু নির্মাণ ব্যয়ের দ্বিগুণ অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা হলেও বন্ধ হয়নি টোল আদায়। এতে যানবাহনের চালক ও যাত্রীদের পড়তে হচ্ছে বেকায়দায়।

সিএনজি চালক মিজান জানান, দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে চাঁদপুর ব্রিজে টোল নেওয়া হচ্ছে। এখান থেকেব দ্বিগুণ টাকা উত্তোলন হলেও কেন বন্ধ হচ্ছে না টোল আদায়। শিগগির এই সেতুর টোল আদায় বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার জন্যে সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে যানবাহনের চালকরা।

প্রতিদিন চাঁদপুর সেতু দিয়ে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলাসহ নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও দক্ষিণাঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। টোল আদায় বন্ধ না হওয়ায় গাড়ির চালকরা এসব যাত্রীর কাছ থেকে বেশি ভাড়া আদায় করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

এ পথের যাত্রী মকসুদুল আলম বলেন, টোল নেওয়া হয় বলে চালকরা আমাদের কাছে বাড়তি ভাড়া দাবি করে। আগামী অর্থবছরে যেন আর সেতুটির টোল আদায় করা না হয়। এমনটাই দাবি সরকারের কাছে।

২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রায় সাড়ে আট কোটি টাকায় তিন বছরের জন্যে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। প্রতিদিন কী পরিমাণ যানবাহন চলাচল করে তার নির্দিষ্ট কোনো সংখ্যা জানা নেই ইজারাদার প্রতিষ্ঠানের লোকদের।

বাইসাইকেল এবং মোটর সাইকেল বাদে যেকোনো যানবাহন সেতু পার হতে হলে প্রতিবার গুণতে হয়ে বিভিন্ন অংকের টাকা। এক্ষেত্রে চালকদের দেয়া হয় না টোল আদায়ের রশিদ।

ইজারাদার প্রতিনিধি আলমগীর হোসেন ঢাকাটাইমসকে বলেন, সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী চাঁদপুর সেতুতে টোল আদায় করা হচ্ছে। টোল আদায়ের রশিদ সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রতিদিন শত শত সিএনজি-অটোরিকশা যাতায়াত করে, এত দ্রুত সবাইকে রশিদ দেওয়া সম্ভব হয় না। কিন্তু আমরা বড় যানবাহনগুলোতে রশিদ দিয়ে থাকি। অনেকে দ্রুত যাওয়ার জন্য টাকা রেখে চলে যায়।

চাঁদপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম ঢাকাটাইমসকে বলেন, ২০১৫ সালের নীতিমালা অনুযায়ী ২০০ মিটারের বেশি যেকোনো সেতুর টোল আদায় অব্যাহত থাকবে। মন্ত্রণালয়ে টোল আদায় প্রত্যাহারের প্রস্তাব করা হলেও তা গ্রহণ করেনি।

(ঢাকাটাইমস/০৭জুলাই/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :