‘ভালোবাসা পেতে ও দিতে পৃথিবীতে এসেছি’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৭ জুলাই ২০১৯, ১৩:১৭

অনুষ্ঠিত হলো অধ্যাপক হায়াৎ মামুদের ৮১তম জন্মবার্ষিকী। শনিবার বিকালে বাংলাবাজারের পুঁথিনিলয়ের অডিটোরিয়ামে জন্মদিন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্মৃতিচারণ করেন পুঁথিনিলয়ের স্বত্বাধিকারী শ্যামল পাল।

অনুষ্ঠানে হায়াৎ মামুদ স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, ‘ভালাবাসা-বাসির জন্য জীবন। আমরা ভালোবাসা পেতে ও দিতে এসেছি পৃথিবীতে। ভালোবাসার মাধ্যমেই পৃথিবী ছেড়ে চলে যাব। আর কিছু থাকবে না। শুধু ভালোবাসা রয়ে যাবে।’

এছাড়া স্মৃতিচারণে অংশ নেন অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন শিল্পী নিসার হোসেন, কবি ভূইয়া সফিকুল ইসলাম, কথাসাহিত্যিক বুলবুল চৌধুরী ও লেখক জাকির তালুকদার, ড. মো, আমিন।

পুঁথিনিলয়ের পরিচালক বলেন, ‘হায়াৎ মামুদকে পেয়ে পুঁথিনিলয় ঋদ্ধ হয়েছে। হায়াৎ মামুদের জ্ঞান, প্রজ্ঞা ও অভিজ্ঞতায় পুঁথিনিলয় প্রতিনিয়িত সমৃদ্ধ হচ্ছে।’

প্রসঙ্গত, অধ্যাপক হায়াৎ মামুদ ১৯৩৯ সালের ২ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একজন আধুনিক কবি, ছড়াকার, প্রাবন্ধিক, অনুবাদক ও শিশুসাহিত্যিক। শিশুদের জন্য অনেক গ্রন্থ রচনা ও অনুবাদ করেছেন। তার অনূদিত ম্যাক্সিম গোর্কির গল্পগ্রন্থ চড়–ইছানা, গবেট গিম্পেল, পৃথিবীর ইতিহাস-প্রাচীন যুগ উল্লেখযোগ্য।

হায়াৎ মামুদ একটি নাম, একটি প্রতিষ্ঠান। শিশুসাহিত্য, প্রবন্ধ, গবেষণা, সম্পাদনা, কবিতা, বাংলা ভাষা, জীবনীগ্রন্থ ও অনুবাদ মিলিয়ে তার বইয়ের সংখ্যা শতেক।

হায়াৎ মামুদ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। কর্মজীবনের শুরুতে কিছুদিন চাকুরি করেছিলেন বাংলা একাডেমিতে। অনুবাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন রাশিয়ান প্রকাশনা সংস্থা প্রগতি’তে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে অধ্যাপনা করেছেন ১৯৭৮ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত। বর্তমানে তিনি প্রকাশনা সংস্থা পুঁথিনিলয়-এ বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ে উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন। শিশু-কিশোরদের জন্য জীবনীগ্রন্থ রচনা তার প্রিয় বিষয়।

শিশুসাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য পেয়েছেন ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার’। শিশুসাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য ২০১৩ সালে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি তাঁকে ‘শিশুসাহিত্য পুরস্কার’ প্রদান করে। ২০১৬ সালে তিনি বাংলা সাহিত্যে অসামান্য অবদানের জন্য ‘একুশে পদক’ এবং ২০১৭ সালে রবীন্দ্রসাহিত্যে গবেষণার জন্য ‘রবীন্দ্র পুরস্কার’ লাভ করেন।

হায়াৎ মামুদ থাকেন পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ার পৈত্রিক বাড়িতে।

(ঢাকাটাইমস/০৭জুলাই/এসএস/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :