বিটিআরসির সিদ্ধান্তকে বেআইনি বলছে গ্রামীণফোন

প্রকাশ | ০৭ জুলাই ২০১৯, ১৫:১১ | আপডেট: ০৭ জুলাই ২০১৯, ১৫:২৫

তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ ৩০ শতাংশ কমিয়ে দিতে সম্প্রতি আইআইজি অপারেটরদের বিটিআরসির নির্দেশনার প্রতিবাদ জানিয়েছে গ্রামীণফোন । একই সঙ্গে এই সিদ্ধান্তকে বৈআইনিও বলছে প্রতিষ্ঠানটি।

আজ ঢাকায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গ্রামীণফোন জানায়, বিটিআরসির নির্দেশনাটি এমনভাবে করা হয়েছে যার ফলে নেটওয়ার্কের অধীনে থাকা গ্রাহকদের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে যা মূলত গ্রামীণফোনের ওপর চাপ তৈরি করতেই দেওয়া হয়েছে। এ নির্দেশনার ফলে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে স্থানীয় ব্যবসায়ী সম্প্রদায় এবং সংশ্লিষ্ট আইআইজি অপারেটরদের ওপর। কারণ নির্দেশনার ফলে রাজস্ব আয় কমার পাশাপাশি ব্যবসায়িক সুযোগ হারাবে প্রতিষ্ঠানগুলো যদিও পুরো বিষয়টির ওপর তাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।

অমীমাংসিত অডিট পাওনা আদায়ের জন্য চাপ তৈরি করতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা কর্তৃক আইআইজি অপারেটরদের দেওয়া এমন নির্দেশনাকে অনাকাঙ্খিত বলে আখ্যায়িত করেছে গ্রামীণফোন। অপারেটরটি বিশ্বাস করে এমন পদক্ষেপ সম্পূর্ণ বেআইনি এবং এমন অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত এর বিরুদ্ধে আদালতের স্বরনাপন্ন হবে।

এ বিষয়ে গ্রামীণফোনের সিইও মাইকেল ফোলি বলেন, ‘এ নির্দেশনা বাংলাদেশের মানুষ এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর বাড়তি চাপ তৈরি করবে। আমরা বিটিআরসি’কে এ নির্দেশনা তুলে নেওয়ার অনুরোধ করছি এবং সেইসাথে সালিস আইন, ২০০১-এর অধীনে অমীমাংসিত অডিট দাবির নিষ্পত্তিতে সহযোগীতার অনুরোধ করছি।’

এর আগে অমীমাংসিত অডিট দাবির গঠনমূলক নিষ্পত্তির জন্য গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে বিটিআরসি’কে একটি সালিশ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশের বিষয়ে এখন পর্যন্ত নীরব ভুমিকা পালন করছে বিটিআরসি। 

গ্রামীণফোন সবসময়ই আইন মেনে চলে (কমপ্লায়েন্ট) উল্লেখ করে মাইকেল ফোলি আরও জানান, ২০১৫ সাল থেকেই জিপি দেশের সবচেয়ে বড় কর্পোরেট করদাতা হিসেবে স্বীকৃত।

(ঢাকাটাইমস/৭জুলাই/এজেড)