কেনাকাটায় সঙ্গীকে রাজি করানোর উপায়

প্রকাশ | ০৭ জুলাই ২০১৯, ১৮:৪৭

ফিচার ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

পছন্দের সঙ্গীকে নিয়ে কেনাকাটা করতে সবাই পছন্দ করেন। কারণ সবাই একত্রে কিছুটা সময় কাটাতে চান। কিন্তু বাস্তবে অনেক সময় তা সম্ভব হয় না। দুজনের ভিন্ন ভিন্ন আচরণের কারণে মনোমালিন্য হয়। অনেকে নিজের রুচি সঙ্গীর ওপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন। সঙ্গীর পছন্দকে গুরুত্ব দেন না। ফলে সঙ্গী অসন্তুষ্ট হন।

তবে, কিছু নিয়ম অনুসরণ করলে শপিংয়ে সঙ্গীকে রাজি করানোর পাশাপাশি সম্পর্ক বৃদ্ধি করা সম্ভব।   

১. শপিংয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন। সঙ্গীর জরুরি কোন কাজ রয়েছে কিনা তা জেনে নেবেন। অন্যথায় শপিংয়ে সঙ্গী বিরক্ত অনুভব করবে। সঙ্গীর জরুরি কাজকে গুরুত্ব দিন। পরবর্তীতে সঙ্গীই নিজে উদ্যোগী হয়ে আপনাকে শপিংয়ে নিয়ে যাবে।

২. অনেকেই ১টি জিনিস কেনার জন্য বাজারের সব দোকান ঘুরে বেড়ান। সময়ের ব্যাপারে তার কোনো খেয়াল থাকে না। কিন্তু সঙ্গীর হয়ত কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজ থাকতে পারে। সঙ্গী সব দোকান ঘুরে ঘুরে কেনাকাটা করতে পছন্দ নাও করতে পারেন। এজন্য সময়ের ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে। বাসা থেকে বের হওয়ার সময় আনুমানিক একটি সময় নির্দিষ্ট করে বের হতে পারেন। ফলে, আপনিও নির্দিষ্ট সময়ের মাঝে শপিং শেষ করতে পারবেন।   

৩. অনেকে শপিংয়ে পাশের সঙ্গীর কথা ভুলে যান। শুধু নিজের পছন্দ অনুসারে কেনাকাট করেন। সঙ্গীর পছন্দকে গুরুত্বহীন মনে করেন। এ কারণে সঙ্গী পরবর্তীতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। এ সমস্যার সমাধানে শপিংয়ে সঙ্গীর পছন্দকে গুরুত্ব দিতে হবে। দুজনের সম্মতির ভিত্তিতে কেনাকাটা করলে ভুল বোঝাবুঝির সমাধান হবে।  

৪. সবাই ঘুরে বেড়াতে ভালোবাসেন। সাথে প্রিয় মানুষ থাকলে এ আনন্দের মাত্রা দ্বিগুণ হয়ে যায়। এ কারণে শপিং এর সময় কিছুটা সময় রেস্তোরাঁয় এক সাথে খাবার খাওয়া যেতে পারে। অথবা সিনেমা হলে পছন্দের কোনো সিনেমা দেখা যেতে পারে। তাহলে দুজনের মাঝে হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক অনেক বেড়ে যায়।

৫. অনেক কিছু কেনার ফলে ব্যাগের সংখ্যা বেড়ে যায়। একজনের পক্ষে সব ব্যাগ বহন করা কষ্টকর ও দৃষ্টিকটু। এক্ষেত্রে দুজনকেই দায়িত্বশীল হতে হবে। দুজনে সবগুলো ব্যাগ ওজন অনুসারে ভাগাভাগি করে নিতে হবে।  

৬. প্রতিটি সংসারে সাংসারিক সমস্যা থাকে। যখন বাজারে যাবেন, তখন চেষ্টা করবেন সাংসারিক সমস্যার আলোচনা এড়িয়ে যেতে। অন্যথায় সাংসারিক আলোচনার কারণে শপিংয়ের আনন্দ মাটি হয়ে যেতে পারে।

৭. শপিংয়ে গিয়েছেন। কেনাকাটার জন্য টাকা লাগবে। টাকা ছাড়া একটি সুঁইও কেনা যাবে না। এ কারণে বাসা থেকে বের হবার আগে বাজেট ঠিক করে যান। সঙ্গীর টাকার পরিমাণ সম্পর্কে সচেতন থাকুন। সম্ভব হলে নিজেও কেনাকাটার জন্য টাকা খরচ করুন। লাগামছাড়া কেনাকাটা করলে পরবর্তীতে সঙ্গী শপিংয়ে নাও আসতে পারেন।

৮. কেনাকাটা শেষ। রিকশা খুঁজছেন। বাসায় যাবেন। যদি জরুরি কাজ না থাকে, তাহলে দুজনে একত্রে পছন্দের কোন জায়গা থেকে ঘুরে আসতে পারেন। ঘোরাঘুরির কারণে শপিংয়ের ক্লান্তি দূর হয়ে যাবে। আর সবাই ঘুরতে পছ্ন্দ করে। সুতরাং, এ সুযোগ হারাবেন না।

ঢাকাটাইমস/০৭জুলাই/আরআর/ইএস