অর্গানিক খাদ্য উৎপাদনে অ্যাকুয়াপনিক্সের তাগিদ

প্রকাশ | ০৭ জুলাই ২০১৯, ২২:১১

বাকৃবি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

বাংলাদেশের জনসংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়ায় ফসলি জমিতে তৈরি হচ্ছে আবাসন। এছাড়াও স্বল্প জমিতে অধিক ফলনের জন্য ক্ষতিকর কীটনাশক সার ব্যবহার করা হচ্ছে, যা খাদ্য নিরাপত্তার জন্য হুমকি। তাই সার ও কীটনাশক না দিয়ে মাটিবিহীন মাছের চাষকৃত পানির মধ্যে সবজি চাষ (অ্যাকুয়াপনিক্স) এর তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

রবিবার বিকাল সাড়ে তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত দুই দিনব্যাপী অ্যাকুয়াপনিক্সের ওপর প্রশিক্ষণ ও জাতীয় কর্মশালার সমাপনী হয়।

এ সময় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে এসব কথা বলেন অ্যাকুয়াপনিক্সের উদ্ভাবক অধ্যাপক ড. এম. এ. সালাম।

মাটিবিহীন মাছ চাষ করা ও সেই চাষের পানির মধ্যে সবজি চাষের গুরুত্ব দিয়ে অধ্যাপক ড. এম. এ. সালাম বলেন, বাড়ির ছাদ ও আঙ্গিনায় অ্যাকুয়াপনিক্স পদ্ধতির মাধ্যমে জৈব খাবার উৎপাদন করে নিজের পরিবার ও সমগ্র জাতিকে নিরাপদ খাদ্য উপহার দেওয়া সম্ভব। এছাড়াও এটি একটি জলবায়ু সহনশীল প্রযুক্তি।

অ্যাকুয়াকালচার বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান, বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জসিমউদ্দিন খান, মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. গিয়াস উদ্দিন আহমদ, ময়মনসিংহ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুর রউফ।

প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করছে দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রায় ২৫ জন প্রশিক্ষণার্থী। সমাপনী অনুষ্ঠানের শেষে প্রশীক্ষণার্থীদের হাতে সার্টিফিকেট তুলে দেয়া হয়। এছাড়াও শেষে অধ্যাপক ড. এম. এ. সালামের তৈরি মাছের কেক কাটেন প্রধান অতিথি উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান।

ঢাকাটাইমস/০৭জুলাই/ইএস