কুড়িগ্রামে হত্যা মামলায় পাঁচজনের যাবজ্জীবন

প্রকাশ | ০৭ জুলাই ২০১৯, ২২:১২

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার পশ্চিম পায়রাডাঙ্গা নলবাড়ী এলাকায় ব্যবসায়ী নজরুল ইসলামকে হত্যার দায়ে পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়।

রবিবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুন্সি রফিউল আলম এই আদেশ দেন।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- আব্দুর রহিম, আসাদুজ্জামান রাজা, সাইফুর রহমান হেজী, মঞ্জুরুল হক ও সৈফুর রহমান কাচু।

রায়ে অপর তিন আসামিকে বেকসুর খালাস দেয় আদালত। তারা হলেন- মকবুল হোসেন, আমিনুল হক ও আব্দুর রশিদকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়।

এডিশনাল পিপি নাজমুল ইসলাম জানান, ২০০৮ সালের মার্চ মাসের ১৯ তারিখ রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে উপজেলার পূর্ব পায়রাডাঙ্গার হাশেমবাজার এলাকার নজরুল ইসলাম নাগেশ্বরী উপজেলা শহরে ব্যবসায়িক কাজ শেষে সঙ্গী শাফিসহ বাড়িতে ফিরছিলেন। পথে পশ্চিম পায়রাডাঙ্গা নলবাড়ী এলাকায় শ্রী রণজিৎ সরকারের বাড়ির কাচারি ঘরের সামনে পৌঁছলে ওঁৎ পেতে থাকা তারই প্রতিবেশী আব্দুর রহিম ও আসাদুজ্জামান ওরফে রাজা, পশ্চিম পায়রাডাঙ্গা এলাকার সাইফুর রহমান ওরফে হেজী, পূর্ব পায়রাডাঙ্গার মঞ্জুরুল হক, একই এলাকার সৈফুর রহমান ওরফে কাচু, মকবুল হোসেন, আমিনুল ও আব্দুর রশিদসহ অনেকে ধারাল অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দলবদ্ধভাবে নজরুল ইসলামকে ঘিরে ফেলে। এসময় আসামি আব্দুর রহিম রাম দা দিয়ে প্রথমে তার মাথার উপরে আঘাত করে। এরপর অন্যান্য আসামিরাও তার উপর হামলা চালায়। উপর্যুপরি আঘাতে নজরুল ইসলাম মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তার সঙ্গী শাফি প্রাণ ভয়ে আত্মরক্ষার উদ্দেশ্যে পাশের পিকলু মিয়ার বাড়িতে আশ্রয় নেয়। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা সটকে পড়ে। গুরুতর আহত নজরুল ইসলাম রংপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

পরে নিহতের ছোট ভাই শহিদুল ইসলাম ২০ মার্চ ২০০৮ সালে নাগেশ্বরী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পরবর্তীতে ময়নাতদন্ত, চার্জশিট এবং সাক্ষী-প্রমাণেরভিত্তিতে রবিবার দুপুরে আসামি আব্দুর রহিম, আসাদুজ্জামান রাজা, সাইফুর রহমান হেজী, মঞ্জুরুল হক ও সৈফুর রহমান কাচুকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেয় আদালত।

অপরদিকে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মকবুল হোসেন, আমিনুল হক ও আব্দুর রশিদকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়।

(ঢাকাটাইমস/৭জুলাই/এলএ)