নরসিংদীতে অপহৃত মাদ্রাসাছাত্র উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৬

নরসিংদীতে অপহরণের পর বায়েজিদ ইব্রাহিম (১৪) নামে অষ্টম শ্রেণির এক মাদ্রাসাছাত্রকে উদ্ধার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এ সময় ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া অপহরণকারী চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

অপহরণের শিকার বায়েজিদ শিবপুর উপজেলার ভরতেরকান্দি এলাকার ব্যাংক কর্মকর্তা মো. ইলিয়াছের ছেলে। নরসিংদী শহরের জামেয়া কাসেমিয়া কামিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে সে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন শিবপুরের ভরতেরকান্দি এলাকার শামসুল হকের ছেলে খালেদ মিয়া (২৫), সাধার চরের নাজমুল হাসানের ছেলে মেহেদী হাসান (২০) দক্ষিণ কারাচরের বাবুল মিয়ার ছেলে তাজুল ইসলাম (১৭), পলাশ উপজেলার ধনাইয়া এলাকার বশির মিয়ার ছেলে ও দক্ষিণ কারার চরের ভাড়টিয়া রানা মিয়া (১৮), পলাশের বক্তারপুর এলাকার রাশেদুল ইসলাম (২১), বেলাব উপজেলার মরিচাকান্দা এলাকার উত্তম কুমার দাসের ছেলে শিবপুরের মধ্য কারার চর এলাকার ভাড়াটিয়া নয়ন দাস (১৯)।

এ ঘটনায় জড়িত রায়পুরার পলাশতলী এলাকার সৌরভ (২০) নামে আরও এক আসামী পলাতক রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আজ সোমবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে নরসিংদীর পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহমেদ এসব তথ্য জানান।

পুলিশ সুপার বলেন, গত শনিবার (৬ জুলাই) দুপুরে পরীক্ষা শেষে মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে অপহৃত হয় বায়েজিদ ইব্রাহিম। মাদ্রাসার অদূরে বনবিভাগ এলাকা থেকে তাকে অপহরণকারীরা একটি প্রাইভেটকারে উঠিয়ে নেয়। পরে তাকে জেলার রায়পুরা, বেলাব, মাধবদী, পলাশসহ বিভিন্ন স্থানে জিম্মি করে আটকে রাখে। ওই দিনই ফোন করে পরিবারের কাছে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ চায় অপহরণকারীরা।

বিষয়টি অপহৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে নরসিংদীর পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিনকে জানানো হলে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক জাকারিয়া আলম ওই রাতেই তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় পলাশ উপজেলার দড়িচর এলাকায় অভিযান চালান। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরণকারীরা অপহৃত মাদ্রাসা ছাত্র বায়েজিদ ইব্রাহিমকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।

পরে অপহরণ কাজে ব্যবহৃত গাড়ির নাম্বারের তথ্য ও একটি সিএনজি পাম্পের সিসি ফুটেজ দেখে রাশেদুল নামে একজনকে শনাক্ত করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যমতে নারায়ণঞ্জসহ নরসিংদীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় জড়িত আরও ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়।