কাপ্তাইয়ে পাহাড় ধসে প্রাণ গেল দুইজনের

রাঙামাটি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৮ জুলাই ২০১৯, ২২:২৫

রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে পাহাড় ধসের মাটিচাপায় দুইজন মারা গেছে। সোমবার দুপুর ১টার দিকে উপজেলার কর্ণফুলি পেপার মিল এলাকার কলাবাগানের মালি কলোনিতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

মৃতরা হলেন- তাহমিনা বেগম ও তিন বছরের শিশু উজ্জ্বল মল্লিক।

পুলিশ জানায়, ভারী বৃষ্টির কারণে আকস্মিকভাবে পাহাড় ধসে ওই এলাকার দুটি ঘর চাপা পড়ে। এতে ঘরে থাকা অন্যরা বের হতে পারলেও একটি ঘরে গফুর মিয়ার পরিবারের তাহমিনা বেগম এবং আরেক ঘরে সুনীল মল্লিকের শিশু সন্তান উজ্জ্বল মল্লিক চাপা পড়ে। পরে এলাকাবাসীর সহায়তায় ফায়ার সার্ভিসের স্থানীয় কর্মীরা দুইজনের লাশ উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির চিকিৎসক একেএম কামরুল হাসান বলেন, ‘হাসপাতালে আনার আগেই ওই দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।’

এদিকে জেলায় টানা তিনদিন বৃষ্টি থাকায় শহরের বেশ কয়েকটি স্থানে পাহাড় ধস হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নিতে জেলা প্রশাসন কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। কাপ্তাইয়ের ঘটনার পরপরই জেলা প্রশাসক সব কর্মকর্তাদের নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় গিয়ে সেসব স্থানে বসবাসকারীদের সরিয়ে দেন। তাদের বাড়ি-ঘরে লাগিয়ে দেন তালা। ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের স্থানত্যাগ করে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাবার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে।

জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশীদ বলেন, ‘দুর্যোগ মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয় থেকে দুর্যোগ মোকাবিলা, নগদ টাকা ও খাদ্যশষ্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়া আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে শুকনো খাবার বিতরণ করার জন্য প্যাকেট প্রস্তুত করা হচ্ছে।’

রাঙামাটি আবহাওয়া পর্যাবেক্ষণ কেন্দ্রের তথ্য মতে, ৭ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৮ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

রাঙামাটি ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের স্টেশন কর্মকর্তা উদয়ন চাকমা বলেন, ‘টানা তিন দিনের বৃষ্টিপাতে পাহাড়ের মাটি নরম হওয়ায় ধসের ঝুঁকি বেড়েছে। এজন্য পাহাড়ের পাদদেশের লোকজনদের নিরাপদে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হচ্ছে।’

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সনের বছরের ১৩ জুন রাঙামাটিতে পাহাড় ধসে সেনা সদস্যসহ ১২০ জন মারা গেছেন। ২০১৮ সালের ১২ জুন রাঙামাটি নানিয়ারচর উপজেলায় পাহাড় ধসে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া পাহাড় ধসের কারণে জেলাজুড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।

(ঢাকাটাইমস/৮জুলাই/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :