পারিশ্রমিক বৈষম্যের শিকার চলনবিলের নারী শ্রমিকেরা

শায়লা পারভীন, তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ)
 | প্রকাশিত : ০৯ জুলাই ২০১৯, ০৮:২৬

আদিকালে যে নারীরা কৃষিকাজের সূচনা করেছিল সেই নারীরা আজও সম্পৃক্ত আছে কৃষিকাজের সঙ্গে। কেবল কৃষিকাজই নয়, দিনের পর দিন বেড়েছে নারী শ্রমিকদের কর্মপরিধি। কিন্তু বাড়েনি তাদের পারিশ্রমিক। নানান অবহেলায়, পরনির্ভরশীল হয়ে বেঁচে না থেকে স্বাবলম্বী হয়ে বেঁচে থাকার তাগিদেই নারীরা বিভিন্ন কাজের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন।

চলনবিল এলাকার নারীরা কৃষিকাজের পাশাপাশি গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন (রাস্তাঘাট নির্মাণ), ধানের চাতাল, হোটেল রেস্তোরাঁ, ইটের ভাটা এমনকি নির্মাণ শ্রমিকের কাজও করছেন। এমন অনেক নারী আছেন যারা বিধবা অথবা স্বামী পরিত্যক্তা; তারা খেয়ে পরে বাঁচতেই বাধ্য হয়ে যুক্ত হচ্ছেন শ্রম বিক্রির সঙ্গে। কিন্তু এ শ্রম বিক্রি করতে গিয়ে তারা অবহেলার শিকার হচ্ছেন নানা রকমের। সেই সঙ্গে উপযুক্ত পারিশ্রমিক থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন নারীরা।

তাড়াশ উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের মহেষরৌহালী গ্রামের আব্দুর রহমানের স্ত্রী নারী শ্রমিক রাহেলা খাতুন এবং একই উপজেলার নলুয়াকান্দি গ্রামের হানিফ আলীর স্ত্রী মাজেদা খাতুন জানান, সংসারে বাড়তি স্বচ্ছলতার আশায় বাড়ির রান্নাবান্না শেষ করে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত কাজ করেন চাতালে। প্রতিদিনের পারিশ্রমিক হিসেবে পান মাত্র ১৫০ টাকা। একজন পুরুষ শ্রমিকের পারিশ্রমিকের তিন ভাগের এক ভাগ দেয়া হয় নারী শ্রমিকদের।

তাড়াশ উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের জাবেদা খাতুন কাজ করছেন কর্মসৃজন প্রকল্পে। সেখানে তার দৈনন্দিক মজুরি ২০০ টাকা। যা দিয়ে কোনোমতে তার সংসার চলে। তিনি জানান, একজন পুরুষ শ্রমিকের পাশাপাশি নারী শ্রমিকেরা একই কাজ করেন। তারপরেও মজুরি বৈষম্যের শিকার।

চলনবিলের ভাঙ্গুড়া উপজেলার অষ্টমনিষা গ্রামের মেয়ে তাছলিমা খাতুন জানান, গত সাত বছর ধরে কাজ করেন শাহানগর এলাকায় অবস্থিত পদ্মা ব্রিক ফিল্ডস নামক ইটভাটায়। স্বামীর নাম আব্দুর রাজ্জাক শেখ। স্বামীর সঙ্গে ডিভোর্স না হলেও দীর্ঘদিন যাবত পৃথক থাকেন তারা। নয় বছরের ছেলেকে নিয়ে স্বামী পালিয়ে চলে যান। বর্তমানে স্বামী রাজশাহী এলাকায় বসবাস করছেন। উপার্জনক্ষম কেউ না থাকায় ইটের ভাটায় কাজ করেন তাছলিমা খাতুন।

তিনি বলেন, ‘পুরুষদের সঙ্গে সমান তালে একই কাজ করলেও পুরুষ শ্রমিকেরা পারিশ্রমিক পাচ্ছেন ৩৫০ টাকা করে; আর আমরা পাচ্ছি ১৫০ টাকা।’

এছাড়াও চলনবিল এলাকা থেকে বর্ষার পানি যখন নেমে যায় তখন বিস্তীর্ণ এলাকায় একই সাথে শুরু হয় ধান কাটা ও বিনা হালে রসুনের আবাদ। তখন শ্রমিক সংকট হওয়ায় নারী শ্রমিকের কদর বাড়ে। কদর বাড়লেও বাড়ে না তাদের পারিশ্রমিক।

এ বিষয়ে জানতে সংশ্লিষ্ট কেউ বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি।

ঢাকাটাইমস/৯জুলাই/প্রতিনিধি/এমআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

ফেসবুক আইডি ক্লোন করে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ, যুবক গ্রেপ্তার

ফরিদপুর প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দের সঙ্গে পুলিশ সুপারের মতবিনিময়

পতেঙ্গায় ফিশিং বোটের ইঞ্জিন বিস্ফোরণে ৪ জন দগ্ধ

চট্টগ্রামে ঈদকে সামনে রেখে জালনোট চক্রের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার

বরিশালে নামাজের সময় মসজিদের এসি বিস্ফোরণ

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দ্রুতগতির লেনে যাত্রী নামানোর অপরাধে ৩৩ যানবাহনকে মামলা 

বরগুনা প্রেসক্লাব দখলের মামলায় ৭ জন কারাগারে  

পর্যটকদের আকৃষ্ট করছে তাহিরপুরের শহীদ সিরাজ লেক

ঝিনাইদহে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু

ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :