জামিনে কারামুক্ত সাবেক এমপি রানা

প্রকাশ | ০৯ জুলাই ২০১৯, ১১:৩৮ | আপডেট: ০৯ জুলাই ২০১৯, ১১:৪২

নিজস্ব প্রতিবেদক, টাঙ্গাইল

টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ ও যুবলীগের দুই নেতা হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। মঙ্গলবার সকাল নয়টায় টাঙ্গাইল কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।

টাঙ্গাইল কারাগারের জেলার আবুল বাশার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গতকাল সোমবার দুই যুবলীগ নেতাকে হত্যার দায়ে করা মামলায় সাবেক এমপি রানার জামিন বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।

এর ফলে রানার কারামুক্তিতে আইনগত বাধা ছিল না বলে গতকাল জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা। এর আগে হাইকোর্ট এই মামলায় রানাকে জামিন দেন। ওই জামিন বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। এছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলায়ও তিনি জামিন পান।

হাইকোর্টের জামিননামা পাওয়ার পর মঙ্গলবার সকালে তাকে টাঙ্গাইল জেলা কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়।

টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা শামীম ও মামুন ২০১২ সালের ১৬ জুলাই তাদের বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে টাঙ্গাইল শহরে এসে নিখোঁজ হন। ঘটনার পরদিন শামীমের মা আছিয়া খাতুন এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি জিডি করেন। এর এক বছর পর ২০১৩ সালের ৯ জুলাই নিখোঁজ মামুনের বাবা টাঙ্গাইল আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এই মামলায় গ্রেপ্তার হন বিশ্বাস বেতকা এলাকার খন্দকার জাহিদ, শাহাদত হোসেন, হিরন মিয়া। তারা আদালতে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে উল্লেখ করেন এমপি রানার দিক নির্দেশনায় যুবলীগ নেতা শামীম ও মামুনকে হত্যা করে লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি এমপি রানা ও তার তিনভাইসহ মোট ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর থেকে পলাতক থাকেন রানা।

দীর্ঘ ২২ মাস পলাতক থাকার পর ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইলের আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিন আবেদন করেন তিনি। সে সময় আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। প্রায় তিন বছর কারাভোগের পর মঙ্গলবার জামিনে কারামুক্ত হন সাবেক এই সংসদ সদস্য।

ঢাকাটাইমস/৯জুলাই/আরকে/এমআর