চাকরি স্থায়ীর দাবিতে ফের রাস্তা অবরোধ, কাফন মিছিল

প্রকাশ | ০৯ জুলাই ২০১৯, ১৫:০৬

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

চাকরি স্থায়ী করার দাবিতে ফের অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে আমার বাড়ি আমার খামার প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারী। মঙ্গলবার বেলা ১২টা থেকে তারা ইস্কাটন গার্ডেনে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় অবস্থান নেন।

এ সময় তাদের হাতে দাবি আদায়ে নানা স্লোগান লেখা ব্যানার ছিল। কর্মচারীদের একটি অংশ কাফন পরে পথে পথে স্লোগান দেন। এ সময় তাদের কয়েকজন রাস্তায় শুয়ে পড়েন। এতে ওই পথে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।  

দাবি আদয়ে করা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সোলায়মান বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে দাবিগুলো উত্থাপন করছি। কিন্তু পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আমাদের চাকরি স্থায়ী করা তো দূরে থাক উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘দাবি আদায় হওয়ার আগ পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরবো না। মৃত্যু যদি আসে তবে পথেই মৃত্যু হবে।’

এদিকে ইস্কাটন গার্ডেনে প্রবাসীকল্যাণ ভবনের সামনে আন্দোলনকারীরা অবস্থান নিলে গোটা রাস্তায় যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় ঢাকা মহানগর পুলিশের কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে এসে আন্দোলনকারীদের রাস্তা থেকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানান। কিন্তু আন্দোলনকারীরা বলেন, তারা দাবি আদায়ে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। তারা কোনো বিশৃঙ্খলা করছেন না। দাবি আদায় হওয়ার আগ পর্যন্ত তারা সড়ক ছাড়বেন না।

একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পে (বিলুপ্ত) নিয়োগপ্রাপ্ত মাঠ কর্মকর্তা ইমরান হোসেন জানান, সারা দেশ থেকে প্রায় পাঁচ হাজার পাঁচশ কর্মকর্তা-কর্মচারী আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের দিয়ে প্রকল্পের কাজ করানো হয়। ব্যাংকের কাজ করানো হয়। কিন্তু গত আট বছর ধরে কাজ করছি। আমাদের চাকরি স্থায়ী করা হচ্ছে না।’

আন্দোলনকারীদের দাবিগুলো হচ্ছে, ২০১৬ সালের ৩০ জুনের আগে নিয়োগকরা একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের সব জনবলকে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে চাকরি স্থায়ী করতে পরিপত্র জারি করতে হবে। স্থানান্তর প্রহসন বন্ধ করে বিগত তিন বছরের ইনক্রিমেন্ট, দৈনিক ভাতা ও সব সুযোগ সুবিধা দিতে হবে। সব পদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদোন্নতি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দিতে হবে।

তাদের চাকরি স্থায়ী করার আগে নতুন জনবল ক্যাশ সহকারী, সিনিয়র অফিসার, উপ-আঞ্চলিক কর্মকর্তা পদে পদায়ন করা যাবে না। নিয়োগ বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে হবে। হাইকোর্টের নিষেধ অমান্য করে দেওয়া নিয়োগ বাতিল করতে হবে এবং আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোনো ধরনের হয়রানি করা যাবে না।