মহাসড়কে রিকশার লেন করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৯ জুলাই ২০১৯, ২০:১৮ | প্রকাশিত : ০৯ জুলাই ২০১৯, ১৬:১৮

দেশের সব মহাসড়কে রিকশা-ঠেলাগাড়ির মতো হালকা যান চলাচলের জন্য আলাদা লেন নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেছেন, ‘মহাসড়কে স্লো মুভিং ভেহিকেল (রিকশা, ঠেলাগাড়ি) যাতে নিরাপদে চলতে পারে, তার ব্যবস্থা থাকতে হবে। খালি দ্রুতগতির গাড়ি চলে যাবে ধুলা উড়িয়ে, মানুষ মেরে-তা সম্ভব নয়। ঠেলাগাড়ি, রিকশা, ভ্যানগাড়ি যেন সব সড়কে পুরো নিরাপত্তার সঙ্গে চলতে পারে।’

মঙ্গলবার অর্থবছরের প্রথম জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এই নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। সভা শেষে এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

মহাসড়কে আলাদা লেন করা হবে কি না জানতে চাইলে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আলাদা স্বল্পগতির লেন করা হবে। নির্দিষ্ট দূরত্বে বিশ্রামাগারও থাকতে হবে। আগের সরু সেতুগুলো ভেঙে বড় করব। ইতিমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে অনেক জায়গায়।’

মন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গবেষণা ও সৃজনশীলতা বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেছেন, শুধু দালান দেখি, কিন্তু গবেষণাতো দেখি না। তাই বিল্ডিংয়ের পাশাপাশি গবেষণা কার্যক্রম বাড়াতে হবে।’

তাছাড়া এখন থেকে যেসব জেলায় নতুন বিশ্ববিদ্যালয় হবে এর আশেপাশের যত সরকারি কলেজ থাকবে সবগুলো ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হবে। এছাড়া তিতুমীর কলেজের মাঠটিকে প্রধানমন্ত্রী মাঠ হিসেবেই রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন। সেখানে যাতে কোনো অবকাঠামো না হয়।

মঙ্গলবার একনেকে ১৩টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এগুলো বাস্তবায়নে মোট খরচ ধরা হয়েছে সাত হাজার ৭৪৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ছয় হাজার ৪১৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা, বৈদেশিক সহায়তা থেকে এক হাজার ১৪০ কোটি ৪৪ লাখ টাকা এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে ১৮৯ কোটি টাকা খরচ করা হবে।

একনেকে অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে বগুড়া-নাটোর জাতীয় মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্তকরণ উন্নীতকরণ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৭০৭ কোটি টাকা। ঢাকা-উথুলি-পাটুরিয়া জাতীয় মহাসড়ক আমিন বাজার থেকে পাটুরিয়ার ঘাট পর্যন্ত বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড এলাকা ডেডিকেটেড লেনসহ সার্ভিস লেন ও বাস-বে নির্মাণ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৬৯৬ কোটি ৩১ লাখ টাকা। লাকসাম-বাইয়ারা বাজার-ওমরগঞ্জ-নাঙ্গরকোট জেলা মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৬১ কোটি টাকা। মডার্নাইজেশন অব সিটি স্ট্রিট লাইট সিস্টেম অ্যাট ডিফারেন্ট এরিয়া আন্ডার চিটাগাং সিটি করপোরেশন প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ২৬০ কোটি ৯০ লাখ টাকা।

বাংলাদেশ ডাক বিভাগের অধীনস্ত জরাজীর্ণ ডাকঘরগুলোর সংস্কার পুনর্বাসন প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ২২৫ কোটি টাকা। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৯৮৭ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর আধুনিকায়ন ও শক্তিশালীকরণ এবং ১৩টি জেলা কার্যালয় স্থাপন প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ২২৬ কোটি টাকা। বিএডিসির বিদ্যমান সার গুদ মের রক্ষণাবেক্ষণ, পুনর্বাসন এবং নতুন গুদাম নির্মাণের মাধ্যমে সার ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম জোরদারকরণ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৩১১ কোটি টাকা।

নদী তীর সংরক্ষণের মাধ্যমে মেঘনা নদীর ভাঙন থেকে ভোলা জেলার তজুমুদ্দিন উপজেলা সদর সংরক্ষণ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৬০৯ কোটি টাকা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্ক, কক্সবাজার এর উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ১২৬ কোটি টাকা। ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার নয়টি ব্রিজ নির্মাণ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ১২০ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে দুই হাজার ৫২ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থার সম্প্রসারণ ও শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে এক হাজার ৩৫৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।

(ঢাকাটাইমস/০৯জুলাই/জেআর/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :