দুধ নিয়ে গবেষণা

ঢাবির সেই গবেষকের বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যাচ্ছে মন্ত্রণালয়

প্রকাশ | ০৯ জুলাই ২০১৯, ১৭:০১ | আপডেট: ০৯ জুলাই ২০১৯, ১৭:০৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
অধ্যাপক আ. ব. ম. ফারুক

বাজারের শীর্ষ পাঁচ কোম্পানির সাত ধরনের পাস্তুরিত দুধের নমুনায় অ্যান্টিবায়োটিক এবং তিন ধরনের দুধে ডিটারজেন্টের উপস্থিতি পাওয়া গেছে; গবেষণায় এমন তথ্য প্রকাশ করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিকেল রিসার্চ সেন্টার ও ফার্মেসি অনুষদের অধ্যাপক আ. ব. ম. ফারুকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। গবেষণা প্রটোকল না মানায় তার বিরুদ্ধে লিগ্যাল অ্যাকশন নিচ্ছে মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ‘নিরাপদ তরল দুধ উৎপাদন’ শীর্ষক এক আলোচনা অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াসি উদ্দিন বলেন, তিনি যে গবেষণা প্রকাশ করেছেন সেটা কোনো পিআর রিভিউস জার্নালে প্রকাশ হয়েছে কি না সেটা জানতে চাওয়া হয়েছে। আগামী সাত দিনের মধ্যে সন্তোষজনক কোনো জবাব না পেলে তার বিরুদ্ধে আইননানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘পিআর রিভিউস জার্নালে প্রকাশ হওয়ার আগেই ওই গবেষক তার তথ্য সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। কিন্তু তার গবেষণার স্যাম্পল সঠিক ছিল না। গবেষণাতেও ত্রুটি ছিল।’

কাজী ওয়াসি উদ্দিন বলেন, ‘তাদের আজকের সংলাপে ডাকা হয়েছে কিন্তু তারা আসেননি। আজকের আলোচনা গত ৩ তারিখ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিকেল রিসার্চ সেন্টার ও ফার্মেসি অনুষদের অধ্যাপক আ. ব. ম. ফারুক জানিয়েছেন, সেদিন তিনি আসতে পারবেন না। আজ ৯ জুলাই বলেছেন আসবেন কিন্তু তিনি আসেননি।’ 

গত ২ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি লেকচার থিয়েটারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বায়োমেডিকেল সেন্টারের পরিচালক এবং ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক আ ব ম ফারুক বলেন, এ গবেষণার জন্য বাজার থেকে পাস্তুরিত দুধের সাতটি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এগুলো হলো মিল্ক ভিটা, আড়ং, ফার্ম ফ্রেশ, প্রাণ, ইগলু, ইগলু চকোলেট ও ইগলু ম্যাংগো। আর অপাস্তুরিত দুধের তিনটি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে রাজধানীর পলাশী, গাবতলী ও মোহাম্মদপুর বাজার থেকে।

অধ্যাপক আ ব ম ফারুক বলেন, আমরা যে ফলাফল দিয়েছি, তা নমুনার ফলাফল। তার মানে এই নয় যে, ওই সব কোম্পানির সব পণ্যই এ রকম। তবে এভাবে যেখানে সেখানে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার হলে আমরা কিন্তু থাকব না, মরে যাব। অ্যান্টিবায়োটিক যে গরুকে খাওয়ানো হলো, ওই গরুর দুধ ও মাংস আমরা খেলে তা আমাদের শরীরে প্রবেশ করবে। মানুষকে বাঁচাতে এখনই গরুকে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ানো বন্ধ করতে হবে।

এই গবেষণা ফল প্রকাশের পরপরই দেশজুড়ে এ নিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। গবেষকদের সংবাদ সম্মেলনের তিন দিন পর ঢাবির ফার্মেসি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সিতেশ চন্দ্র বাছার জানান, ওই গবেষণার সঙ্গে ফার্মেসি বিভাগের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। এমনকি গবেষণাটি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।

(ঢাকাটাইমস/০৯জুলাই/জেআর/জেবি)