হঠাৎই সব শেষ হয়ে গেল: কোহলি

ক্রীড়া ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১১ জুলাই ২০১৯, ০৯:৫০

সৌরভ গাঙ্গুলী মনে করছেন, মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকে পরে নামানোটা ঠিক হয়নি। পরিস্থিতি বিচারে তাঁর আরও আগে আসা উচিত ছিল এদিন। ভিভিএস লক্ষ্মণও তাঁর সঙ্গে একমত।

ওল্ড ট্রাফোর্ডে বিপর্যয়ের পরই শুরু হয়ে গিয়েছে ময়নাতদন্ত। কোহলিরা কি ঠিক দল আনেননি বিশ্বকাপে? কেন চার নম্বর নিয়ে এত টালবাহানা চলল শেষ পর্যন্ত? কেন দিনেশ কার্তিকের আগে রিশাব পান্ত? যেখানে রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলি আউট হয়ে গিয়েছেন, খেলা ধরার জন্য কি কার্তিককে পাঠানো উচিত ছিল? যাঁর রক্ষণ রিশোবের চেয়ে মজবুত? কেন ধোনির আগে হার্দিক পান্ডিয়া?

সৌরভ মাঠ ছেড়ে বেরোনোর সময় বলেন, ‘ধোনি আজ খারাপ খেলেনি কিন্তু। সেই সময় পার্টনারশিপ দরকার ছিল। জাদেজার সঙ্গে ও সেটাই করেছে। তবে ওকে দেরিতে নামানো হয়েছে। আরও আগে আসা উচিত ছিল ধোনির।’ কমেন্ট্রিতেও তিনি এবং লক্ষ্মণ একই কথা বলেছেন।

বিরাট কোহলি যদিও মনে করছেন, নিউজিল্যান্ডের স্কোর তাড়া করতে নেমে শুরুতেই যে তাঁরা চার উইকেট হারিয়ে ফেলেন, সেখানেই ম্যাচ হেরে গিয়েছে দল। ম্যানচেস্টারে মুম্বইসুলভ উৎসবের আবহের বদলে যে শোকের ছায়া নেমে এল, তার কারণ শুরুর চল্লিশ মিনিটের ব্যাটিং।

কোহালি এদিন সংবাদ সম্মেলনে গিয়ে এমনই ম্রিয়মান ছিলেন যা সচরাচর তাঁকে দেখা যায় না। সেই কোহালিসুলভ আগ্রাসনটা যেন নিউজিল্যান্ড ছিনিয়ে নিয়ে গিয়েছে। বলেন, ‘আমাদের ব্যাটিংয়ের প্রথম চল্লিশ মিনিটেই খেলার রং পাল্টে যায়। আমরা ওই সময়ে খারাপ ক্রিকেট খেলেছি।’

কোহলি বলেন, ‘প্রথম ৪০ মিনিটে প্রচণ্ড চাপ তৈরি হয়ে গিয়েছিল। পাঁচ রানে তিন উইকেট হারানোর পরে ম্যাচে ফিরে আসাটা খুবই কঠিন। তবু জাদেজা আর এমএস চেষ্টা করেছিল। আমার মনে হয়, এটাই জাদেজার খেলা সেরা ইনিংস। গোটা টুর্নামেন্টে আমরা খুব ভাল খেলেছি। এই হারে আমরা খুবই হতাশ।’

এরপরে আরও যন্ত্রণাকাতর অভিব্যক্তি-সহ যোগ করেন, ‘এত কষ্ট করে আমরা বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি। ভাল খেলে এই জায়গাতে এসেছি। তারপর হঠাৎই সব শেষ। আমাদের হৃদয় গুঁড়িয়ে দিয়ে যাচ্ছে এই পরাজয়। কিন্তু কী করা যাবে, এটাই ক্রিকেট। এটাই বিশ্বকাপের বাস্তব দিক। একটা বাজে দিন তোমার স্বপ্নভঙ্গ করে দিয়ে যেতে পারে। আমাদের মেনে নিতে হবে।’

এক নিঃশ্বাসে এরপরে বলেন, ‘তবে নিউজিল্যান্ডকে কৃতিত্ব দিতে হবে। যেভাবে ওরা নতুন বলে বল করেছে, সেটাই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দিয়ে গেল।’

২০১১-তে ধোনির ভারত যখন ওয়াংখেড়েতে বিশ্বকাপ জেতে, কোহলি সেই দলের তরুণ সদস্য ছিলেন। শচীন টেন্ডুলকারকে তাঁর কাঁধে করে মাঠ ঘোরানোর ছবি এখনও সকলের মনে আছে। ২০১৩-তে ধোনিরই নেতৃত্বে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়। সেখানেও কোহলি দলের তরুণ ব্যাটসম্যান। তারপর থেকে বিশ্ব মঞ্চে ট্রফিহীন ভারত।

২০১৫ বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হার। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হাতে পরাজয়। ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে হার। ২০১৯-এর বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে পরাজয় বরণ করে বিদায়। কে বলবে এই নিউজিল্যান্ডই রাউন্ড রবিন পর্বের শেষ দিকে হারতে হারতে শেষ চারে উঠেছে আর ভারত টেবিলের শীর্ষে থেকে শেষ চারে খেলতে নেমেছে। কোহলি যদিও দাঁতে দাঁত চেপে বলার চেষ্টা করেন, ‘আমরা শোকাহত। তবে মেনে নিতে হবে। এই হার থেকে আরও ভাল খেলোয়াড় হয়ে আমরা বেরিয়ে আসব।’

(ঢাকাটাইমস/১১ জুলাই/এসইউএল)

সংবাদটি শেয়ার করুন

খেলাধুলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :